রেজাউল করিম, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী দইয়ের মেলা বসেছে। শহরের মুজিব সড়কে বসেছে এই দই মেলা। মেলায় দইসহ নানা রসনা বিলাসী খই, চিড়া, মুড়ি, মুড়কি, বাতাসা, কদমাসহ খাবার বেচা-কেনা হচ্ছে। সকাল থেকে দই মেলায় ভিড় করছেন বিক্রেতারা। সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় ঘোষদের বসবাস। তারাই তৈরি করেন হরেক রকমের দই মিষ্টি। এখানকার তৈরি দই আকর্ষণীয়। খেতেও জব্বর।
শ্রীপঞ্চমী তিথি হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই তিথিতে শিক্ষার্থীরা ভক্তিসহকারে মা সরস্বতীকে প্রদান করে পুষ্পঞ্জলী। সিরাজগঞ্জের মানুষ সরস্বতী মায়ের পূজায় ভোগ হিসেবে ফলমূলের পাশাপাশি দেন দই মেলা থেকে কেনা দই। এসময় দুর দুরন্তর আত্মীয় স্বজন আসেন তাদের কুটুম বাড়িতে। জামাইয়রা দই কেনেন শ্বশুরবাড়ির জন্য।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে সিরাজগঞ্জ শহরের মুজিব সড়ক এলাকায় শুরু হয়েছে দই মেলা। জেলার বিভিন্ন স্থানে থেকে দই ব্যবাসায়ীরা এসে এই মেলায়। এখানে খিরখাশা, খিরশা, খাশাসহ বিভিন্ন প্রকার দই মেলায় উঠেছে। ১৮০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা মূল্যের দুই কেজি ওজনের দই বিক্রি হচ্ছে। ভোর থেকে ক্রেতা বিক্রেতাদের হাকডাকে মুখরিত হয়ে উঠেছে দই মেলা প্রাঙ্গণ। মেলা চলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত। তবে এ বছর করোনার কারণে কিছুটা স্বল্প পরিসরে এই দই মেলা বসেছে।
চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর কেজির মোড়ের রনি মিষ্টান্ন ভান্ডারের প্রোপ্রাইটার রনজিত কুমার ঘোষ জানান, দুধের দাম, জ্বালানী, শ্রমিক খরচ, দই পাত্রের মূল্য বৃদ্ধির কারণে দইয়ের দামও বেড়েছে। তবে মেলা এক দিনব্যাপী হলেও চাহিদা থাকার কারণে কোনো ঘোষের দই অবিক্রিত থাকে না।
মেলায় দই কিনতে আসা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সন্তোষ কুমার কানু জানান, সিরাজগঞ্জ ও তাড়াশে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী দইয়ের মেলা বসেছে।
সান নিউজ/কেটি