রাজনীতি

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস কাল, নানা কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪০তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস কাল সোমবার। এদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বুলেটের ক্ষতমুছে, বিকৃত রাজনীতির মোড় ঘোরাতে ফিরে এসেছিলেন স্বাধীন বাংলার বুকে। ফিরে এসে সকল নিষেজ্ঞার শিকল ডিঙিয়ে ১৯৮১ সালের এ দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় নেমে ছিলেন রাজ পথের আন্দোলনে। সেই থেকে এ দিনটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম এবং উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনের ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। সেই থেকে দিনটি হয়ে উঠে গণতন্ত্র প্রিয় মানুষগুলোর কাছে একটি স্মরণীয় দিন।

ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নিরবচ্ছিন্ন দীর্ঘ সংগ্রাম শুরু হয়। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সামরিক সমর্থিত সরকার ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে চলে তাঁর একটানা অকুতোভয় সংগ্রাম। জেল-জুলম, অত্যাচার কোনোকিছুই তাঁকে তাঁর পথ থেকে টলাতে পারেনি এক বিন্দু শত প্রতিকূলতাতেও হতোদ্যম হননি কখনো। বাংলার মানুষের হারিয়ে যাওয়া অধিকার পুনরুদ্ধার করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি বারবার স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেছেন, আবির্ভূত হয়েছেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা রূপে।

১৯৮১ সালের এইদিনে ঝড়-বাদল আর জনতার আনন্দাশ্রুতে অবগাহন করে শেরে বাংলা নগরে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলে ছিলেন, সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই। আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেল সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই, বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই। তিনি আরো বলেছিলেন, জীবনে ঝুঁকি নিতেই হয়, মৃত্যুকে ভয় করলে জীবন মহত্ব থেকে বঞ্চিত হয়।

নেতাজী সুভাষ বসুর ভাষায়,বিপ্লবের পথ একেবারে ঋজুপথ নয়। এ পথে নিরবিচ্ছিন্ন সাফল্য আসে না, এ পথ বহু বিঘ্নসংকুল, সুদীর্ঘ এবং সর্পিল।

সেই থেকে মৃত্যু আর ভয়ের পথ পাড়ি দিয়েই তিনি জনগণের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শুরু করেন নবতর সংগ্রাম। তারই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি এক বিবৃতিতে বলেন, এ বছর বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের চার দশক পূর্ণ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন এবং তাঁর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি যুগান্তকারী ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা, তিনি গত চার দশক ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে সীমিত পরিসরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তুরের নেতা-কর্মীদের যথাযথভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে গৃহীত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধা্রণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম অনলাইন পোর্টাল সাননিউজকে বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ফিরে আসার দিন ১৭ মে। ১৯৮১ সালে এইদিনে শত প্রতিকূলতার শিকল ভেঙে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে স্বদেশ ভূমিতে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন দ্বিতীয় বারের মত খোঁড়গ নেমে আসে ২০০৭ সালের ৭ মে। এরআগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা চিকিৎসার জন্য যুকরাষ্ট্রে যান। চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরতে চাইলে তদানীন্তন ফখরুদ্দিন–মঈনউদ্দিন নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এক অবৈধ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে ষড়যন্ত্রেও লিপ্ত হয় এ সরকার। তবে এ নিষেজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে বিশ্বব্যাপী। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও বে-আইনি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দেশে ফেরার ঘোষণা দেন। যেমনটা করেছিলেন ১৯৮১ সালে। সেইদিনও নেত্রীর ঐকান্তিক দৃঢ়তা, সাহস ও গণতন্ত্রকামী বিশ্ববাসীর চাপে তৎকালীন সরকার তাকে দেশে আসার অনুমতি দেন। অবশেষে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ঢাকায় ফিরে এলে লাখো জনতা তাকে সাদর অভ্যর্থনা জানায়। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে মিছিল শোভাযাত্রা সহকারে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে নিয়ে আসে। কিন্তু সেই দিন তাকে তার বাড়িতে ডুকতে দেয়নি। তবুও তিনি জনগণের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শুরু করেন নবতর সংগ্রাম। তারই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি :

সোমবার বাদ জোহর কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। এছাড়া মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা, উপাসনালয়ে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয়ভাবে সকাল ৬:০০ মিনিটে তেজগাঁও হলি রোজারি চার্চে খ্রিস্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০:০০ মিনিটে রাজধানীর মেরুল বাড্ডাস্থ আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং সকাল ১১:৩০ মিনিটে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।

সকাল ১০টায় রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সীমিত পরিসরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ এমপি, ডা. দীপু মণি এমপি ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি। সভায় সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান এবং সঞ্চালনা করবেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।

বিকেল ৩টায় গুলিস্তানস্থ মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সীমিত পরিসরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি সহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নরঘাতকরা ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এসময় বিদেশে থাকায় আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূ-লুণ্ঠিত করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে ঘাতকগোষ্ঠী। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমনি ক্রান্তিলগ্নে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫, ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার পবিত্র দায়িত্ব অর্পণ করা হয় জাতির পিতার কন্যার হাতে। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বকে ভয় পায় ঘাতকগোষ্ঠী। তৎকালীন সামরিক সর্মিথিত জান্তা জিয়াউর রহমান সরকার শেখ হাসিনাকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করতে না দেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। কিন্তু শেখ হসিনা সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রিয় স্বদেশভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন। দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসন শেষে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি লক্ষ লক্ষ মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি সেদিন। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে সেদিন সারা বাংলাদেশের মানুষের গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা। স্বাধীনতার অমর স্লোগান, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় বাংলার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল হাসিনা তোমায় কথা দিলাম পিতৃ হত্যার বদলা নেব। শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম।

সাননিউজ/এমআর/বিএস

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রাণী প্রদর্শনী মেলা

ভোলা প্রতিনিধি: ‘প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট ব...

সম্মিলনী বিদ্যালয়ের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : ফরিদপুর জেলার সদর ইউনিয়...

হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক : দেশে তাপপ্রবাহ বাড়ছে। আর এই গরমে সবচেয়ে ব...

বাংলাদেশ স্কাউট দিবস ২০২৪ পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে অনুষ্...

ছুটির দিনে মুখর সোহরাওয়ার্দী

নুসরাত জাহান ঐশী: আজ সপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর প্রাণকেন্দ...

কৃষক লীগকে গ্রামে নিয়ে যাওয়া ভালো

নিজস্ব প্রতিবেদক : কৃষক লীগকে শহরের মধ্যে আটকে না রেখে গ্রাম...

শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব বিশ্বে বিরল

নিজস্ব প্রতিবেদক : মৃত্যুঞ্জয়ী শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপ...

দেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে গত কদিন ধরেই চলছে তীব্র দাবদাহ। এ অব...

ছুটির দিনে মুখর সোহরাওয়ার্দী

নুসরাত জাহান ঐশী: আজ সপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর প্রাণকেন্দ...

ভারত ছাড়লেন সালমান খান

বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের ভাইজান খ্যাত সুপারস্টার সালমান খান। স...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা