নিজস্ব প্রতিবেদক : এমনিতেই ঘাড়ের উপর চেপে রয়েছে মারণঘাতি করোনাভাইরাস, তারওপর শুরু হয়েছে শীতের তীব্রতা। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগ বালাই বেড়েছে শিশুদের। শ্বাসকষ্ট, সর্দি কাশি ও নিউমোনিয়া আক্রান্তের সংখ্যাই বেশি। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে আগের চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ।
চিকিৎসকরা বলছেন, শিশু ও নবজাতকদের উষ্ণ পরিবেশে রাখতে হবে। অভিভাবকদের আরও সকর্ত হওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ঢাকা শিশু হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রিজওয়ানুল আহসান বলেন, 'শীত বাড়ার সাথে সাথে ঠাণ্ডা, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া এবং কোল্ড ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাচ্চাদের জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। উষ্ণ আরামদায়ক কাপড় ব্যবহার করতে হবে এবং ধুলাবালিতে বাচ্চারা যেন খেলাধুলা না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শিশুদের পাশাপাশি এই শীতে বড়দের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও প্রকট হচ্ছে। যক্ষ্মা ও অ্যাজমার সঙ্গে যোগ হয়েছে কোভিড-১৯। এতে দেখা দিচ্ছে বাড়তি শঙ্কা।
টিবি হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. আবু রায়হান বলেন, 'যক্ষ্মা রোগীর কোভিড টেস্ট করে দেখা যাচ্ছে কোভিডও পজিটিভ। এ বিষয়টা অবশ্যই চিন্তার কারণ।'
এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দু' একদিনের মধ্যে শীত কমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও বাড়বে রাতের তাপমাত্রা।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ পরিচালক কাওসার পারভীন বলেন, 'মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত এই ঘন কুয়াশাটা থাকবে। হালকা কনকনে বাতাসের জন্য জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে। তবে,এই তাপমাত্রাটা আস্তে আস্তে স্বাভাবিকের দিকে চলে আসছে।'
তবে এ মাসের শেষের দিকে বা জানুয়ারির শুরুতে আবারো শৈত্য প্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সান নিউজ/এস