সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক : আবহমান গ্রামবাংলার প্রাচীন নাট্যরীতির আদলে মৈমনসিংহ গীতিকা থেকে নৃত্য-গীত এবং ছড়ার ছন্দে সংলাপের শৈল্পিক উপস্থাপনার এক নাটক ‘গীতি চন্দ্রাবতী’।
এই নাটকটি শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে পুনরায় প্রদর্শিত হলো।
নয়ান চাঁদ ঘোষের লেখা এ নাটকটির মঞ্চ ও সংগীত পরিকল্পনার পাশাপাশি নির্দেশনা দিয়েছেন ইউসুফ হাসান অর্ক। নাটকটি সংস্কার নাট্যদলের সপ্তম প্রযোজনা।
নাটকের কাহিনীতে দেখা যায়, শৈশবের সাথী জয়ানন্দের কাছ থেকে বয়সন্ধিকালে প্রেমপত্র পেয়ে দ্বিজ বংশীদাস তনয়া চন্দ্রাবতীর মন জয়ানন্দকেই মনে মনে পতি হিসেবে মেনে নিয়েছিলো। পতিব্রতা নারীর মতো ভক্তি আর প্রেমময়তার আশায় চন্দ্রাবতী যখন বিভোর তখন ঘটনাক্রমে বিয়ের আয়োজনও হয় জয়ানন্দের সঙ্গে। কিন্তু বিয়ের আগেই চন্দ্রাবতীর কাছে খবর আসে জয়ানন্দের সঙ্গে এর আগেই মুসলমান এক নারীর বিয়ে হয়েছে।
চন্দ্রাবতীকে এ আঘাত শোকে পাথর করে দেয়। এ কারণে জীবনে আর কখনোও বিয়ে করবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয় সে। এবং পিতার পরামর্শে ‘রামায়ণ’ এর সীতার কষ্টকে নিজের কষ্টের সমান্তরালে বিচার করে রচনা করেন ‘সীতার বারমাসি’। তিন বছর পর জয়ানন্দ অনুশোচিত হয়ে ফিরে আসে; চন্দ্রাবতী তখন যোগীর ধ্যানে মগ্ন। পার্থিব কোনো কিছুই যেন তাকে আর স্পর্শ করে না।
নাটকটিতে অভিনয় করেন- মনামী ইসলাম কনক (নাট্যকেন্দ্র), বাপ্পী সাইফ, ফাতেমা তুজ জোহরা ইভা, আশিকুর রহমান, নাবা চৌধুরী, খন্দকার রাকিবুল হক, মাসুদ কবির, হুমায়রা তাবাসসুম নদী, রাকিবুল ইসলাম রাসেল, মেছবাহুর রহমান, জান্নাত তাসফিয়া বাঁধন, ইগিমি চাকমা, মোস্তফা জামান সৌরভ, উষ্মিতা চৌধুরী, নির্ঝর অধিকারী, মায়ান মাহমুদ, টুটুন চাকলাদার, মোস্তাফিজুর রহমান মফিজ, সানাউল্লা সান্টু, সেলিম রেজা স্বপন।
এছাড়াও নাটকটির পোশাক পরিকল্পনায় ছিলেন- আইরিন পারভীন লোপা, আলো প্রক্ষেপনে- অম্লান বিশ্বাস, কোরিওগ্রাফিতে- শ্রাবন্তী গুপ্ত, প্রপসে- একে আজাদ সেতু এবং রূপসজ্জায়- শুভাশীষ দত্ত তন্ময়।
সান নিউজ/আরআই