নিজস্ব প্রতিবেদক : সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সরকার ঘোষিত ৭ দিনের লকডাউন। সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর লকডাউনের কথা বলা হলেও কার্যত স্বাভাবিক ছিলো রাজধানীসহ সারাদেশের অবস্থা। সড়কে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। গণপরিবহন আর সড়কের পাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া প্রায় সবই খোলা ছিলো। এমনকি গতকাল ঢাকার রাস্তায় চিরায়ত জানজটও দেখেছে রাজধানীবাসী। আজও এর ব্যত্যয় ঘটেনি।
শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, লকডাউন উপেক্ষা করতে দেখা গেছে বিভিন্ন জেলা শহরেও। মাস্ক পরাকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীতে পুলিশের সাথে জনতার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
জানা গেছে, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক সোমবার সন্ধ্যা থেকে কুয়াকাটার বিভিন্ন এলাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর নির্দেশনা বাস্তবায়নে ব্যবসায়ী এবং পথচারীদের ঘরে ফেরার তাগিদ দেন। এ সময় স্থানীয় ফটোগ্রাফারদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের মুখে মাস্ক না থাকায় উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এতে চরমভাবে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত হয়।
এদিকে লকডাউন প্রত্যাখ্যান করেছে নিউ মার্কেটসহ ওই অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা। তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পরে অবশ্য মার্কেট খুলে দেয়া হবে এমন আশ্বাসে তারা রাস্তা ছেড়ে দেয়।
ব্যবসায়িক নেতারা পুলিশ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানায়, আজ সকাল ১০ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নিউ মার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, মার্কেট খোলা না হলে তারা ফের মাঠে মানবে।
স্বয়ং সরকারই লকডাউন মানছে না বলে মন্তব্য করেছেন একাধিক মানুষ। যুক্তি হিসেবে তারা বলছেন, গত বছর সরকার যখন লকডাউন দেয় তখন সবই বন্ধ ছিলো। সবাই স্বত:স্ফূর্তভাবে মেনেছে। কিন্তু এবার না মানার বড় কারণ সরকারের দ্বৈতনীতি। একদিকে বলছে লকডাউন, অন্যদিকে বইমেলা খোলা। আবার অফিস আদালত সবই চলছে। এ অবস্থায় কীভাবে লকডাউন কার্যকর হবে।
অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারবে না। এই ছিল লকডাউনে সরকার ঘোষিত ১৮ দফা নির্দেশনার একটি।
কিন্তু রাত ৯টা পর্যন্ত বাইরে সড়কে মানুষজন ও যানবাহনের উপস্থিতি দেখে বোঝার উপায় ছিলো না রাজধানীতে লকডাউন চলছে। সড়কে কোথাও কোথাও রাত ৯টাতেও মৃদু যানজট দেখা গেছে।
রাত ৮ টার পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরাও চোখে পড়েছে।
সাননিউজ/আরএম/এসএম