নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার আরোপিত কঠোর বিধি নিষেধের জন ভোগান্তির দ্বিতীয় দিন চলছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দূর্ভোগে পড়েছে সাধারণ কর্মজীবী মানুষ। পরিবার পরিজনের প্রিয় মানুষগুলো করোনা থেকে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় তাদের ছুটতে হচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকে। পরিবহন না থাকায় রোগীর স্বজনরা পদে পদে পড়ছেন বিপাকে। গন্তব্যে পৌছতে রিক্সাই এখন একমাত্র ভরসা। সেখানেও বাড়তি টাকা। টাকা আছে যার রিক্সা সেবা আছে তার। বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে তাদেরকে। ধানমন্ডির ১৯ নাম্বার থেকে এলিফ্যান্ট রোড ৫ কি.মি পথেরও কম রাস্তা পারি দিতে ৫০ টাকার ভাড়া দিতে হচ্ছে ন্যুনতম ১০০ টাকা। যা লকডাউনের এই মুহুর্তে মরার ওপর খাড়া ঘাঁ।
মঙ্গলবার সকাল থেকে অফিস আদালত ও হাসপাতাল ও জরুরি কাজে বাইরে বের হওয়া মানুষদের ভোগান্তির এ বাস্তব চিত্র দেখা যায়।
রাজধানীবাসীর অনেকের অফিস খোলা থাকায় বাইরে যেতে হচ্ছে। আবার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বা ওষুধের জন্যও কেউ কেউ বের হচ্ছেন। এদের অনেকেই আবার রোগী নিয়ে। তাদের পক্ষে দীর্ঘ পথ হেঁটে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই সবাইকে রিক্সা নিয়েই গন্তব্যে ছুটতে হচ্ছে।
নিউমার্কেট থেকে রিকশাযোগে ঢাকা মেডিকেল যাচ্ছিলেন আমির হোসেন। পেশায় মুদি ব্যবসায়ী। তিনি সান নিউজকে বলেন, গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখার মতো অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের ফলে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। গাড়ি চলছে না। তাই বাধ্য হয়েই রিক্সায় যেতে হচ্ছে। কষ্ট যত আমাদের মতো কর্মজীবী মানুষদের।
রিক্সার চাহিদা বেশি থাকায় রিক্সাচালকরাও সুযোগ বুঝে ভাড়া বেশি নিচ্ছেন বলে অভিযোগ যাত্রীদের। অনিল দাস নামে একজন বললেন, আগে নিউমার্কেট থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যেতে ৪০ টাকা রিক্সা ভাড়া লাগত। এখন রিক্সা চালকরা ১২০-১৫০ টাকা চাইছেন। এত বেশি ভাড়া দিয়ে কীভাবে যাব?
তবে বেশিরভাগ রিকশাচালকই অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের মতে, গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরও যাত্রীদের যেভাবে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিচ্ছেন তাতে একটু বেশি ভাড়াই ন্যায্য।
হাসেম আলী নামে এক রিক্সাচালক বললেন, আমরা লকডাউনে ঢাকায় থেকে মানুষের উপকার করছি। এছাড়া চাল-ডাল সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। একটু বেশি টাকা না দিলে আমাদের সংসার চলবে কীভাবে?
সাননিউজ/এমআর/টিএস/এসএম