সান নিউজ ডেস্ক: খেজুর গাছের রসকে নির্দিষ্ট সময় ধরে গেঁজিয়ে বা সিদ্ধ ভাতকে দীর্ঘ সময় রাখার পর কিছুটা পচন ধরলে বা ছত্রাক সংক্রমিত হয়ে পড়লে তা থেকে তাড়ি প্রস্তুত হয়। এই পচন ধরা ভাত বা ছত্রাক সংক্রমিত ভাত ওড়িশার আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রধান খাদ্য। তারা এটিকে স্থানীয়ভাবে পাখলা ও বলে থাকে। এতোদিন রীতিমতো এই ভাতকে হেলাফেলা করে আসলেও ভুবনেশ্বর এমসের গবেষক দলের নতুন পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট প্রকাশের পর গোটা ধারণা বদলে গেছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ছত্রাক সংক্রমিত এই ভাত খেলে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পায়!
বালামুরুগান রামদাসের নেতৃত্বে ২০১৯ সাল থেকে ছত্রাক সংক্রমিত ভাতের উপর গবেষণা চালানো হয়। সম্প্রতি তারা নিশ্চিত হয়েছেন যে এই ছত্রাক সংক্রমিত ভাতের মধ্যে বিপুল পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। সেই ফ্যাটি অ্যাসিড ভাতের সঙ্গে শরীরে যাওয়ার ফলে অন্ত্র আরও শক্তিশালী ও কার্যকারী হয়ে ওঠে। আর এটা জানা কথা যে অন্ত্র যত সঠিকভাবে কাজ করবে ততই শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
সান নিউজ/এমএম