নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙামাটি : রাঙামাটিতে সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যে বেড়েছে। রমজান আসতে এখনও অনেকদিন বাকী। আসন্ন রমজানকে পুঁজি করে একশ্রেণির ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা লাভের আশায় দ্রব্যমূল্যে নিয়ে অস্থিরতা তৈরি করে রাখে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে প্রতিদিনই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়ে থাকে কিন্তু যে লাউ সে কদু। জেলা প্রশাসন কর্তৃক মোবাইল কোর্টের সুফল পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। হাট বাজারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে মোবাইল কোর্ট আসলে অসাধু ব্যবসায়িরা একটি দূরদর্শী অভিজ্ঞতা দেখায় সেটা হলো মোবাইল কোর্ট দেখলেই তারা প্রত্যেকটি দ্রব্যমূল্যের উপর ৫-১০ টাকা কমিয়ে বলে তখন মোবাইলকোর্ট চলে আসে।
ক্রেতা রমিজ আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, রাজধানী ঢাকার চেয়েও রাঙামাটিতে সব কিছুর দাম বেশী। আমরা যারা নিন্ম আয়ের মানুষ বাজারে গেলে হিমশিম খেতে হয় আমাদের। কোন জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি? চাউলের দাম প্রতি বস্তায় বেড়েছে ২-৩শ’ টাকা,সোয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৩০-১৪০ টাকা,পিয়াজ ছিল ৪০টাকা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা,রসুন ছিল ৮০ টাকা এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি।
এছাড়া বেড়েছে বয়লার ও দেশি মুরগির দাম। সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের দাম বেড়েছে। অপর দিকে শাকসবজির দাম ও বেড়েছে দ্বিগুন।সরকার বলছে সব কিছুর দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে কিন্তু হাট বাজারে গেছে বিপরীত। বর্তমানে পত্র-পত্রিকায় ও টেলিভিশনে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে শুনলেই ব্যবসায়ীরা তিনগুন বাড়িয়ে বিক্রি করতে থাকে। প্রশাসন মাঠে নামলে নানান অজুহাত তুলে ধরেন প্রশাসনের কাছে।
বৃহত্তর বনরুপা ব্যবসায়ি কল্যাণ সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ঠিকাদার তাপস দাশ বলেন,ব্যবসায়ি সমিতির পক্ষ হতে মাহে রমজানে আমরা দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধে যতটুকু পারি বাজার মনিটরিং করার চেষ্টা করবো। এছাড়াও জেলা প্রশাসন মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তদারকি করে আসছে। তার পরও ব্যবসায়ীরা বেশী দামে দ্রব্যমূল্য বিক্রি করছে।
ব্যবসায়িরা বলেন,চট্টগ্রামে দাম বেড়েছে আমরা আমাদের কি করার আছে। সর্বক্ষেত্রেই এই পরিস্থিতি। আমি মনে করি এব্যাপারে প্রশাসন আরও কঠোর হতে হবে। কমপক্ষে পবিত্র মাহে রমজান মাসে যেন দ্রব্যমূল্যের দাম শিথিল থাকে।
জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর(এনডিসি) মোঃ ইসলাম উদ্দিন জানান,জেলা প্রশাসক মহোদয়ের আদেশক্রমে হাট বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রতিনিয়ত মোবাইল কোর্ট কাজ করছে। তারপরও মাহে রমজান উপলক্ষে তদারকি আরও বাড়িয়ে দেওয়া হবে। যে সকল ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মাত্রায় ক্রেতাদের ঠকিয়ে বেচাবিক্রি করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সান নিউজ/কামাল/এসএ