ফিচার

যে কারণে দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ক্যাপসিকাম

সান নিউজ ডেস্ক : দেশে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বেল পেপার, ক্যাপসিকাম বা সিমলা মরিচ যা ভিন্ন ভিন্ন নামে সবাই চিনবেন। মরিচ নাম হলেও একটি আসলে একটি সবজি। মাছ, মাংস, সবজি, সালাদ—সবকিছুতেই এর ব্যবহার রয়েছে।

সবুজ, লাল ও হলুদ রঙের ক্যাপসিকাম এখন কিনতে পাওয়া যায় কাঁচাবাজার ও সুপার শপগুলোতে। তবে আপনি একটু চেষ্টা করলে বারান্দা কিংবা ছাদের টবে খুব সহজেই ক্যাপসিকাম চাষ করতে পারেন।

ক্যাপসিকামের কয়েকটি উন্নত মানের জাত হলো ক্যালিফোর্নিয়া ওয়ান্ডার, ইয়েলো ওয়ান্ডার এবং হাইব্রিডের মধ্যে মধ্যে রয়েছে ম্যানহাটন, অনুপম ভারত, রতন, মহাভারত, মানহেম-৩০১৯, মানহেম–৩০২০ প্রভৃতি।

চাষ পদ্ধতি : ঝরঝরে বেলে বা দো’আঁশ মাটি ক্যাপসিকাম চাষের জন্য উপযোগী। যদিও সব মৌসুমেই ক্যাপসিকাম চাষ সম্ভব, তবে ভাদ্র ও মাঘ মাসে বীজ বপন করলে ভালো ফলনের সম্ভাবনা বেশি থাকে। বীজ বা চারা সংগ্রহ করে নিচের দিকে ছিদ্রযুক্ত একটি টব বাছাই করতে হবে, যেন অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনে সুবিধা থাকে।

টবের মাটির সঙ্গে এক-তৃতীয়াংশ জৈব সার মেশাতে হবে। মোটামুটি এক মাস বয়সী চারা রোপণের জন্য উপযোগী। ক্যাপসিকাম চাষের জন্য আলো, বাতাস ও প্রখর তাপহীন রোদ উপকারী।

কারণ, তীব্র রোদে চারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই তাপ কম থাকা অবস্থায় চারা রোপণ করা উচিত। চারা রোপণের কমপক্ষে ২০ দিন পর থেকে এক চামচ করে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত পরিমিত পানি দিতে হবে যেন মাটি শুকিয়ে না যায়।

চারা একটু বড় হলে শক্ত খুঁটি দিতে হবে যাতে হেলে না পড়ে যায়। এ ছাড়া গাছের গোড়ার আগাছা থাকলে সেগুলো সাবধানে তুলে ফেলতে হবে। চারা বসানোর প্রায় ২ মাস পর থেকে অর্থাৎ চারা গাছ ৩ মাস হলেই ফল দিতে শুরু করে, যা পরবর্তী ১ থেকে দেড় মাস পর্যন্ত ফল দিতে থাকবে।

রোগবালাই : ক্যাপসিকামের পাতায় যেন রোগের উপদ্রব না হয়। সাধারণত, ২ ধরনের রোগ দেখা যায় ক্যাপসিকামে। এর একটি হলো পাতা কুঁকড়ে যাওয়া আর অন্যটি হলো পাতায় কালো দাগ হওয়া। জাব পোকা দলবদ্ধভাবে পাতার রস চুষে খায়, এ কারণে পাতা কুঁকড়ে যায়।

এ থেকে রক্ষা পেতে নিম বীজের দ্রবণ অথবা সাবান,পানি স্প্রে করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ৮ থেকে ১০লিটার পানিতে দুই চা–চামচ গুঁড়ো সাবান গুলিয়ে ব্যবহার করতে হবে। পাতার কালো দাগ ক্যাপসিকামের ফলন কমিয়ে দেয়, এমনকি গাছও মেরে ফেলে। সে ক্ষেত্রে এক লিটার পানিতে দুই গ্রাম ব্যাভিস্টিন গুলিয়ে ১৫ দিন পরপর স্প্রে করতে হবে।

যাদের বাগান করার শখ আছে বা বাগান করছেন ইতিমধ্যে, তারা বাড়িতেই ক্যাপসিকাম চাষ করতে পারেন। এতে একই সঙ্গে বাগানের আবেশে পরিবর্তন আসবে এবং তাজা ক্যাপসিকাম খাওয়াও হবে।

সান নিউজ/এসএ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

খাগড়াছড়িতে গৃহকর্মীকে জিম্মির অভিযোগ 

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ

আড়িয়ল ইউপিতে উপ-নির্বাচন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবস

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স...

কার্বণ মিল ও সীসা কারখানা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী প্রতিনিধি:

কার্বণ মিল ও সীসা কারখানা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী প্রতিনিধি:

কক্সবাজারে দুই জেলের লাশ উদ্ধার 

জেলা প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলার চ...

আড়িয়ল ইউপিতে উপ-নির্বাচন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়িতে গৃহকর্মীকে জিম্মির অভিযোগ 

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা