সান নিউজ ডেস্ক: রুশ আগ্রাসন প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির কাছ থেকে ট্যাংক পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে ইউক্রেন।
আরও পড়ুন: ৬ আসনে ভোটগ্রহণ চলছে
এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমা এ দেশগুলোর কাছ থেকে চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানও চেয়েছে কিয়েভ।
যদিও জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবটিতে ‘না’ উত্তর দিয়েছে। এবার ভলোদিমির জেলেনস্কিকে চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান দিতে সরাসরি অস্বীকার করল ব্রিটেন।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের দপ্তরের মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেন। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে যুদ্ধবিমান পাঠানো সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আমাদের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানগুলো চালানো শিখতেই কয়েক মাস সময় চলে যায়। তাই আমরা মনে করি এখনই ইউক্রেনে যুদ্ধবিমান পাঠানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত হবে না।
তবে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে ব্রিটেন তার সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য।
আরও পড়ুন: ভোট কেন্দ্রে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যায় যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই পাল্টে যেতে শুরু করে জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতির চেহারা। নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে রাশিয়া থেকে জ্বালানি, ভোজ্য তেল, গ্যাস ও কয়লাসহ খাদ্যশস্যের আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতি। প্রায় এগারো মাসের বেশি সময় ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ।
সান নিউজ/এনকে