মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ : একটি হুইল চেয়ার ছিলো মালেকের। সেই চেয়ারে বসে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাহায্য চাইতো সে। তিন বছর আগে সেই হুইল চেয়ারটি ভেঙে গেছে। এখন হামাগুড়ি দিয়ে তার চলতে হয়। হুইল চেয়ার না থাকার কারণে চলাফেরায় খুব কষ্ট হয় তার। আগের মতো সাহায্যের জন্য যেতে পারে না দূরের বাজারগুলোসহ বিভিন্ন গ্রামে। তাই উপার্জন কমে গেছে তার। দিন কাটছে কোন মতো।
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের কংশপুরা গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছোট ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী মালেক (৭০)। আগে হুইল চেয়ারে চড়ে সাহায্যে জন্য ঘুরলেও এখন মাটিতে হামাগুড়ি দিয়ে ক্ষুধার যন্ত্রণা নিবারণের জন্য মামুষের দ্বারে দ্বারে যেতে হয় তাকে।
শারীরিক প্রতিবন্ধী মালেক বলেন, ২০ বছর আগে মাছ ধরার জাল দিয়ে আমার বা হাতের ৩টি অঙুল হারাই। এর চার বছর পর একটি রোগে আমার বা পা হাটু পর্যন্ত কেটে ফেলি। ধীরে ধীরে এখন আমার পুরো শরীরের শক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে। এখন অটো হুইল চেয়ার ছাড়া চলা সম্ভব না। আামার অর্থ উপার্জনের কেউ নেই। তাই একটি হুইল চেয়ার হলে কিছু টাকা বেশি উপার্জন করতে পারবো।
এ অর্থ দিয়ে নিজের খাবারসহ ওষুধ খেতে পারবো। সরকারের কাছে অনুরোধ আমাকে যেন একটা অটো হুইলচেয়ার দেওয়া হয়। কংশপুরা গ্রামে আমার বাড়ি। বিকাল থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত আমি বাড়িতে থাকি তারপর জীবনযুদ্ধে বের হয়ে পড়ি।
সান নিউজ/কেটি