ত্রীড়া ডেস্ক: করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্বের যেসব দেশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ব্রাজিলের নাম সে তালিকায় ওপরের দিকেই থাকবে। অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, সামাজিক, পেশাদারি—প্রতিটা ক্ষেত্রেই দেশটায় করোনার প্রভাব অনুভূত হচ্ছে। দেশটিতে বৈশ্বিক মহামারির ভয়াবহ প্রভাবের আঁচ লেগেছে নেইমারের গায়েও।
সুবিধাবঞ্চিত তিন হাজার শিশুর দেখভালের জন্য তিনি যে ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তা গত বছরের মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে। কিন্তু সেখানে যারা কাজ করতেন তাদের কেউ চাকরি হারাননি। ছাঁটাই না করে কর্মীদের পুরো বেতন দিয়ে দারুণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার।
পিএসজি তারকা নেইমারের বাবা ও তার এজেন্ট- নেইমার সিনিয়রের বরাতে এমন খবর দিয়েছে স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা। তিনি বলেছেন, ‘আমার পরিবার ও আমি প্রতিষ্ঠানটির দেখভাল করছি। যে ১৪২ জন কর্মী আছে, তারা সম্পূর্ণ বেতনসহ অন্যান্য ভাতাও পুরোপুরি পাচ্ছে। অতিমারি যতদিনই চলুক না কেন, যারা আমাদের প্রতিষ্ঠানে কাজ করে তাদের চাকরি ও ভাতার নিশ্চয়তা দিচ্ছি আমরা।’
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য ব্রাজিলের প্রেইয়া গ্রান্দে অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নেইমার জুনিয়র ইনস্টিটিউট। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তারা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারেনি।
ধারণা করা হচ্ছে, কর্মীদের বেতন দিতে প্রতি মাসে প্রায় ৯০ হাজার ইউরো করে খরচ হচ্ছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৯১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।
জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের শনিবার সকাল পৌনে ১১টার তথ্য অনুযায়ী, সংক্রমণের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ৩৮ লাখ ৩২ হাজার ৪৫৫ জন। মারা গেছেন তিন লাখ ৬৮ হাজার ৭৪৯ জন। সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ২১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৩১ জন।
করোনাকালে নিজেদের চাকরি কিংবা বেতনাদি নিয়ে কর্মীদের কোনো চিন্তা করতে হবে না বলে জানিয়েছেন নেইমারের বাবা, ‘এই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের চাকরি ও বেতন নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হবে না। ওই ব্যাপারটা আমরা দেখছি। যত দিন এই মহামারি চলবে, তত দিনই দেখব।’
সাননিউজ/এএসএম