সারাদেশ

বারোমাসি আমে তিন বন্ধুর স্বপ্ন জয়     

মাসুম লুমেন, গাইবান্ধা : পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। ছোট বেলার এই প্রবাদ বাক্যটির জ্বলন্ত উদাহরণ যেন তিন বন্ধু রুবেল, মাসুদ এবং জাহিদ।

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের ছোট-ছত্রগাছা গ্রামে তাদের বাড়ি।

তিন বন্ধুই আবার পলিটেকনিক্যাল কলেজের ছাত্র। এদের মধ্যে রুবেল ২০১৮ সালে ঢাকা পলিটেকনিক্যাল কলেজে থেকে ইলেকট্রিক্যাল বিষয়ে ডিপ্লোমা, মাসুদ বগুড়ার বেসরকারি পলিটেকনিক্যাল কলেজ থেকে টেক্সটাইল ট্রেড নিয়ে ডিপ্লোমা শেষ করেন। আর জাহিদ গত বছর ঢাকার শ্যামলী আইডিয়াল পলিটেকনিক্যাল কলেজ থেকে ডিপ্লোমা শেষ করেন।

করোনা মহামারি দেখা দিলে চাকরি ছেড়ে গ্রামে ফিরে আসেন। এরপর তারা মনোযোগ দেন উদ্যোক্তা হওয়ার দিকে। শুরু করেন আম এবং পেয়ারার বাগান। শুরুতে কিছুটা কষ্ট হলেও এখন আর তাদের তেমন একটা সমস্যা নেই। বাগানে আম আর মুকুলে ভরে থাকে বারোমাস।

তাদের শুরুটা ২০১৯ সালের মার্চে। মাত্র চার বিঘা জমি বর্গা নিয়ে শুরু করেন আম ও পেয়ারা গাছের চারা রোপণ। প্রথমে পাঁচশত আম ও আড়াইশ পেয়ারা গাছের চারা রোপণ করেন তারা। এক দেড় বছরের নিবিড় পরিচর্যায় তা রুপ নেয় পরিপূর্ণ বাগানে। এই বাগানে থাই কাটিমন বারোমাসি আম ও পেয়ারা বিক্রি করে প্রতি মাসে এখন তাদের আর হচ্ছে প্রায় লক্ষ টাকা।

এই তিন তরুণ প্রথমে চার বিঘা জমিতে আমের চারা রোপণ করলেও বর্তমানে আরও ২০ শতক জমি বর্গা নিয়েছেন। শুরু থেকে নিজেরাই করছেন বাগান পরিচর্যার কাজ। জমি নিড়ানী থেকে শুরু করে চারা রোপণ, খুঁটি গাড়া এবং ঘেরা দেয়া সবই করেন এই তিন তরুণ উদ্যোক্তা। তবে এক সময় তিন তরুণের পক্ষে বাগান পরিচর্যা করা সম্ভব হয়ে উঠছিল না। তখন তারা নিজেরা কাজ করার পাশাপাশি দিন প্রতি তিনশত টাকার একজন শ্রমিক নিয়োগ করেন। কিন্তু মাস শেষে সেই শ্রমিকের পারিশ্রমিক দিতে না পারায় তিন তরুণ চাকরি নেন ঢাকার এক পোশাক কারখানায়। সেই চাকরির বেতনের টাকায় শ্রমিকের পারিশ্রমিক দেন এই তিন তরুণ উদ্যোক্তা। এরপর থেকে আম ও পেয়ারা বিক্রি করেই স্বাবলম্বী তিন তরুণ।

এ ব্যাপারে তিন বন্ধুর পক্ষে রুবেল বলেন, তারা এই বারোমাসি থাই-কাটিমন আম বাগান থেকে এখন প্রতি মাসে আয় করছেন প্রায় লক্ষ টাকা। তিনি আরও বলেন, কেউ যদি চারা কিনতে বা কিছু শিখতে চান, তাহলে তারা সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক। তবে, তাদের একটাই চাওয়া, সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে এই বাগানের পরিধি বাড়িয়ে অনেক বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব।

সাদুল্লাপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. খাজানুর রহমান বলেন, ধাপেরহাটের তিন বন্ধু তরুণ উদ্যেক্তা পত্র-পত্রিকা দেখে বারোমাসি থাই কাটিমন আমের চারা সংগ্রহ করেন চুয়াডাঙ্গা থেকে। কৃষি বিভাগের কারিগরি সহায়তায় আজ তারা আম চাষে স্বাবলম্বী। এই বাগান থেকে তারা প্রতি সপ্তাহে ২০-২৫ হাজার টাকার আম বিক্রি করছেন। তাদের জন্য ব্যাংক লোনেরও আলোচনা চলছে। এরকম আরও উদ্যোক্তা বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করছি।

সান নিউজ/কেটি

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচন সম্পন্ন

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : ফরিদপুর জেলার সদর ইউনিয়...

শরীয়তপুরে ৩ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের ভে...

লক্ষ্মীপুরে গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু 

সোলাইমান ইসলাম নিশান, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি...

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা...

চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি নজর রাখার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মধ্যপ্রাচ্যে সৃষ্...

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ১৯ 

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান...

টাঙ্গাইল শহরে কক‌টেল বি‌স্ফোরণ

জেলা প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল শহ‌রের বি‌ভিন্ন প‌য়ে...

হবিগঞ্জে বাসচাপায় নিহত ২

জেলা প্রতিনিধি: হবিগঞ্জে বাসচাপায় পিকআপচালক ও হেলপার নিহত হয়...

খাদ্যপণ্যের ১২ গুদামে  আগুন

জেলা প্রতিনিধি: গাজীপুরে বাজারে খাদ্যপণ্যের ১০-১২টি গুদাম আগ...

৬ জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ

নিজস্ব প্রতিবেদন: তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়ে দেশ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা