নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর কদমতলীতে বাবা-মা ও মেয়ে খুনের যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি এই পরিবারের সদস্যদের অস্বাভাবিক সম্পর্কের বিস্ফোরণ। তিন খুনের ঘটনা তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এমনটাই জানিয়েছেন।
তিন খুনের ঘটনায় পরিবারটির বড় মেয়ে মেহজাবিন ইসলাম মুনকে চার দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। তার স্বামী শফিকুল ইসলামের তিন দিনের রিমান্ডর মঞ্জুর হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম সোমবার (২১ জুন) শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এই হত্যাকাণ্ডে শফিকুলই মূলহোতা বলে দাবি করছেন মেহজাবিনের স্বজনরা। তারা বলছেন শফিকুল ঠাণ্ডা মাথায় খুনের পরিকল্পনা করেছেন।
পুলিশ তদন্তে নেমে পরিবারটিতে অস্বাভাবিক সম্পর্কের কথা জানতে পেরেছে। এমন সম্পর্কের জন্য শফিকুলকেই দোষছেন মেহজাবিনের স্বজনরা। তার খালা ইয়াসমিন বলেন, শফিকুল বিয়ের পর থেকেই মেহজাবিনকে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। একপর্যায়ে তার ছোট বোন জান্নাতুলকেও সে একই ধরনের নির্যাতন শুরু করে। তার ইচ্ছে ছিল দুই বোনকে তার কাছে রেখে শ্বশুর বাড়ির সব সম্পদ হাতিয়ে নেওয়ার। তাকে জিজ্ঞেস করলেই এই ঘটনার সব জানা যাবে।
গত ১৯ জুন কদমতলীর মুরাদপুর রজ্জব আলী সরদার রোডের পাঁচতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী ইসলাম (৪০) ও মেয়ে ছোট জান্নাতুলের (২০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অচেতন অবস্থায় মেহজাবিনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ও মেয়ে তৃপ্তিকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত মাসুদ রানার বড় ভাই সাখাওয়াত হোসেন তার ভাতিজি মেহজাবিন ইসলাম মুন ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
সান নিউজ/এমআর