বিনোদন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের বিধায়ক এবং অভিনেত্রী দেবশ্রী রায় তার বিশিষ্ট বন্ধু এবং বিজিপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তার বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) কোলকাতার আলিপুর আদালত চত্বরে দেবশ্রী জানান, তাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরেই ওরা আমাকে অপমান করছেন! একজন শিল্পী হিসেবে গোটা দেশ আমাকে চেনে। আমি এতদিন কিছু বলিনি। কিন্তু রায়দিঘিতে গিয়ে ওরা যা বলেছেন, তা মেনে নেওয়া যায় না।'
গত ২১ জানুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘিতে এক জনসভায় গিয়েছিলেন শোভন-বৈশাখী। সেখানে জনসভা থেকে স্থানীয় বিধায়ক দেবশ্রীর সমালোচনা করেন দুজনেই। অভিযোগ, শোভন সেখানে দেবশ্রীকে 'অযোগ্য বিধায়ক' বলে দাবি করেন এবং ২০১৬ সালের ভোটে তাকে জেতানোর জন্য এলাকার মানুষের কাছে ক্ষমা চান। সঙ্গে নাম না করে টোটো কেলেঙ্কারি নিয়ে দেবশ্রীকে আক্রমণ করেন। একই সুরে দেবশ্রীর সমালোচনা করেন বৈশাখীও। বলেন, 'উনি তো সিনেমাতেও নেই। রাজনীতিতেও নেই'।
দেবশ্রী আদালত চত্বরে শোভনের নাম উচ্চারণ করলেও বৈশাখীর নাম মুখে আনেননি। শোভনের বান্ধবীকে তিনি 'মহিলা' বলে উল্লেখ করেন। দেবশ্রী বলেন, 'ওই মহিলার নাম নিতে চাই না। যেটা প্রাণে আসছে, সেটাই বলছেন, তাও আমি কিছু বলিনি। একতরফা বলছেন, আর আমি নিতে পারছি না।'
মামলা ঠিক কখন হয়েছে সেটা না জানালেও দেবশ্রীর আইনজীবী বলেন, 'উনি একজন অভিনেত্রী এবং পশুপ্রেমী। তারা টিভিতে দেবশ্রী রায়ের সম্পর্কে ন্যক্কারজনক মন্তব্য করেছেন। উনার ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। আদালত মামলা গ্রহণ করেছেন। এই মামলা এখন চলবে।' আদালত চত্বরে শোভনকেও নিশানা করেন দেবশ্রী বলেন, 'শোভন বলেছেন, উনি প্রায়শ্চিত্ত করতে এসেছেন। আমি অপদার্থ হলে শোভন জেতাতে নিয়ে এলেন কেন? শোভন চট্টোপাধ্যায় মতো মানুষেরা সামাজিক অস্বস্তি। পরিবার, সন্তানের কাছে, স্ত্রীর কাছে যে আপন নয়, সে কত বড় নেতা? সে কি জনপ্রিয় নেতা হতে পারে? মানুষের সামনে দাঁড়াতে পারে?'
প্রসঙ্গত, ২০১১ এবং ২০১৬ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি আসন থেকে জিতে বিধায়ক হন দেবশ্রী। তৃণমূলের একাংশের মতে, দেবশ্রীকে জেতাতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেন তখন দলের জেলা সভাপতি শোভন। দেবশ্রীকে দ্বিতীয়বার প্রার্থী করার পিছনেও শোভনের পছন্দকেই দল গুরুত্ব দিয়েছিল। কিন্তু বিবাদ শুরু হয় শোভন বিজেপি-তে যোগদানের দিন থেকে।
সান নিউজ/এসএস