নারী

পূর্ণতা আসুক মাতৃত্ব দিবসে

আসমাউল মুত্তাকিন: একটি সুন্দর শব্দ হলো ‘মা’। বলা হয়ে থাকে একজন নারীর পূর্ণতা আসে মাতৃত্বে। বংশানুক্রম ধারা টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব প্রাকৃতিকভাবেই নারীর ওপর তার মাতৃত্বের মধ্য দিয়ে বর্তেছে। যদিও এখন শোনা যাচ্ছে পুরুষদের পেটে বাচ্চা ধারণের ব্যপারে পরীক্ষা নিরীক্ষার কথা। তারপরও মাতৃত্বের জন্য মা হলো সবচেয়ে নিরাপদ ও স্বাভাবিক।

বিশ্ব নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস শুক্রবার (২৮ মে)। নিরাপদ মাতৃত্বের অধিকার একটি মানবাধিকার। তেমনি নিরাপদ প্রসবের সব ধরনের সুযোগ পাওয়াও একজন মায়ের অধিকার। একজন নাগরিক হিসেবে তিনি সেই অধিকার ভোগ করার ক্ষমতা রাখেন।

প্রতি বছর পৃথিবীতে প্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার নারীর মৃত্যু হয় গর্ভধারণ ও প্রসবজনিত জটিলতার কারণে। ২৬ লাখ মৃতজন্মসহ ৩০ লাখ নবজাতক অকাল মৃত্যুবরণ করে। বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন ৮৩০ জন মা মৃত্যুবরণ করেন।

বাংলাদেশে প্রতি বছর ৫ হাজার ৪৭৫ জন মা এবং প্রতিদিন প্রায় ১৫ জন মা মৃত্যুবরণ করেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আগের চেয়ে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। তবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রায় এখনও পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি লাখ জীবিত জন্মে মাতৃমৃত্যুর হার ৭০-এর নিচে নামিয়ে আনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

বর্তমানে দেশে প্রতি এক লাখ জীবিত জন্মে ১৭২ জন মা মৃত্যুবরণ করেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে এই সংখ্যা ছিল প্রতি এক লাখ জীবিত জন্মে ১৭৬ জন। বর্তমানে ৩৭ ভাগ মা কমপক্ষে চারটি প্রসবপূর্ব সেবা গ্রহণ করে থাকে। দেশে বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার ৪৭ শতাংশ। প্রসবের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রসব-পরবর্তী সেবা গ্রহণের হার ৩২ শতাংশ।

মোট মাতৃমৃত্যুর ৭৩ শতাংশই ঘটে প্রসব-পরবর্তী সময়ে। যাদের ৫৬ ভাগই মারা যায় প্রসবের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। এসব মাতৃমৃত্যুর ৩১ শতাংশই ঘটে রক্তক্ষরণের কারণে। ২৪ ভাগ মৃত্যুর জন্য দায়ী খিঁচুনি বা একলাম্পশিয়া। এছাড়া ৩ শতাংশ মায়ের মৃত্যু ঘটে বাধাগ্রস্ত বা অবিরাম প্রসব ব্যথার কারণে। মোট মাতৃমৃত্যুর ৫৩ ভাগই ঘটে থাকে বাড়িতে প্রসবের কারণে।

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারি হাসপাতাল,চিকিৎসা,পর্যাপ্ত ডাক্তার ,আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব এখনো প্রকট। মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র,স্যাটেলাইট ক্লিনিক এবং বিভিন্ন এনজিও বা সংস্থার মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর দশা এতোটাই খারাপ যে সার্বক্ষণিক ডাক্তারের অভাব খুবই প্রকট। তারপরও মাতৃত্ব নিরাপদ হবে , সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়বে, নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত হবে, সব শ্রেণীর মানুষ এই অধিকার পাবে, এই হোক এবারের নিরাপদ মাতৃত্ব দিবসের প্রত্যাশা।

উল্লেখ্য, সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক নারী স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে ১৯৮৭ সাল থেকে ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস’ পালন শুরু হলেও মাতৃ স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব ও এর কার্যকারিতা অনুধাবন করে ১৯৯৭ সাল থেকে বাংলাদেশে যথাযথভাবে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস হিসেবে পালন করা শুরু হয়। দিবসটি অবস্ট্রেটিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) পালন করে আসছে।

সাননিউজ/এএসএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

আজ বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবস

সান নিউজ ডেস্ক: আজ ২৩ এপ্রিল, বিশ...

কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই 

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ও কাতা...

চরাঞ্চলে তরমুজের বাম্পার ফলন

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার চ...

দেশবিরোধী অপশক্তি ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশবিরোধী একটি...

কাতারের আমির-প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: কাতারের আমির শে...

গরমে সাপের উপদ্রব, সতর্ক থাকার পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশ জুড়ে অস্বাভাবিক গরম পড়ায় চলতি বছর স্বাভাবিক সময়ের আগেই...

আজ যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরবরাহ লাইনের জ...

তারাকান্দায় ছুরিকাঘাতে ছেলেকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ময়মনসিংহের তারাকান্দায়র উপজেলায় বানিহালা ই...

আজ ব্যাংকক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী 

নিজস্ব প্রতিবেদক: থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনে...

জিবুতি উপকূলে নৌকাডুবি, নিহত ৩৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লোহিত সাগরের উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী এক...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা