নিজস্ব প্রতিবেদক: সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে নানা আতঙ্কে পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে বেশ ইতিবাচক লেনদেন হতে দেখা গেছে। এরফলও মিলেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক মাত্র তিন কার্যদিবসে বেড়েছে প্রায় আড়াইশ পয়েন্ট। একই সাথে বাজার মূলধন বেড়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা।
বাজার বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক থাকলেও লেনদেন করতে দেখা গেছে। লকডাউনের প্রথম দিন অর্থাৎ ৫ এপ্রিল ডিএসই’র সূচক বাড়ে ৮৮ পয়েন্ট। পরের দিন ৬ এপ্রিল বাড়ে ১০৩ পয়েন্ট। পরের দিন ৭ এপ্রিল ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে সূচক দাঁড়ায় ৫ হাজার ৩৩৭ পয়েন্টে। শেষ কার্যদিবসে সূচক অবশ্য কিছুটা কেমেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শুধু প্রধান মূল্যসূচক নয়; বড় উত্থান হয়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকেরও।
আগের দিনের তুলনায় সূচকটি ২২ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১১ পয়েন্টে উঠে এসেছে। লকডাউনের প্রথম দুইদিনে এই সূচকটি বাড়ে ৮৬ পয়েন্ট। এ হিসেবে তিনদিনে সূচকটি বাড়ল ১০৮ পয়েন্ট।
ডিএসইর অপর সূচক ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সূচকের বড় উত্থানের পাশাপাশি লকডাউনের তৃতীয় দিনে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। দিনের লেনদেন শেষে ১৯৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। আর ১০২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বৃদ্ধি এবং সূচকের উল্লম্ফনের পাশাপাশি লেনদেনেও ভালো গতি দেখা দিয়েছে। মাত্র দুই ঘণ্টাতেই ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৮২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫০৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৭৪ কোটি ৭ লাখ টাকা।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ায় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার ১২৬ কোটি টাকা। যা আগের কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ছিল ৪ লাখ ৬১ হাজার ৫৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ লকডাউনের তৃতীয় দিনে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ৬৯ কোটি টাকা।
আগের দুইদিনে বাজার মূলধন বাড়ে ১৭ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। অর্থাৎ লকডাউনের তিনদিনে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ল ২১ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা। বাজার মূলধন বাড়ার অর্থ হলো তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭৩ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ২১৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪০টির, কমেছে ২৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯টির।
সাননিউজ/আরএম/