আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে রক্ত দিয়েছে এদেশের দামাল ছেলেরা। বাংলা ভাষাকে বাদ দিয়ে উর্দুকে রাষ্ট্রীয় ভাষা করতে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার নির্যাতন ও হত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। কিন্তু বাংলার সাহসী যুবকরা পিছু হটেনি। বরং গৌরবোজ্জল ইতিহাসের সৃষ্টি করেছিল।
আর সেই ইতিহাসের স্বীকৃতিস্বরূপ এখন বিশ্বব্যাপী ২১ শে ফেব্রুয়ারি পালিত হয় ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে। এখন সেই উর্দু ভাষায় সম্পাদিত বই বাংলায় অনুবাদ করার পরিকল্পনা নিয়েছে পাকিস্তান সরকার।
বাংলাদেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ আরও গভীরভাবে বিকশিত করার জন্য নিজেদের দেশের বেশ কিছু বই বাংলায় অনুবাদের পরিকল্পনা করছে দেশটির সরকার। বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাই কমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান।
পাকিস্তানের সংবাদ সংস্থা ডিএনডি কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, “আমরা আমাদের সাধারণ সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে আরও গভীরভাবে বিকশিত করার জন্য সাংস্কৃতিক বিষয়ের বইগুলোকে বাংলায় অনুবাদ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।”
সাক্ষাৎকারে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, “পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক উপভোগ করে। আমি যেখানেই যাই, আমার বাংলাদেশি ভাই এবং বোনেরা আমাকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে আমাদের একটি ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
যা কোনও অস্থায়ী রাজনৈতিক বাধায় ভাঙতে পারে না এবং এটিকে আমি স্মরণে রাখি। ভ্রাতৃত্বপূর্ণ বাংলাদেশের এই অনুভূতিগুলো পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।
তিনি আরও বলেন, “চলতি বছরের জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিফোনে কথা বলেছেন। তারা পারস্পরিকভাবে উদ্বেগজনক বিষয়গুলো নিয়ে একে অপরের সাথে আলোচনা করেন এবং এই সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে সম্মতি প্রকাশ করেছেন।”
বাংলাদেশের আগামী বছরের সুবর্ণ জয়ন্তী পালন বিষয়ে ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, “পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ও তার জনগণের জন্য মঙ্গল কামনা করা ছাড়া অন্য কিছু না। কয়েক দশকে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে আমরা খুশি। আমরা প্রার্থনা এবং আশা করি, বাংলাদেশ সর্বস্তরে নতুন আত্মবিশ্বাস ও শক্তি নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে “
তিনি আরও বলেন, “আঞ্চলিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশের অগ্রগতি পাকিস্তানের জন্য শক্তির উৎস। সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমরা তাদের প্রতি শুভকামনা জানাই। আমি নিশ্চিত যে এই উপলক্ষটি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পুনর্মিলন এবং ইতিবাচক সম্পর্ক তৈরিতে নতুন যুগের সূচনা করবে।
সান নিউজ/এসএ