মিজান লিটন, চাঁদপুর: চাঁদপুর জেলাধীন হাইমচর উপজেলার রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কার্লবাট, স্কুল-কলেজসহ সব পর্যায়ে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ হলেও চারটি লঞ্চঘাটে পন্টুন না থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে হাইমচর উপজেলার ২ নং উত্তর আলগি ইউনিয়নের কাটাখালি বাজার লঞ্চঘাট গিয়ে দেখা যায়, ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চগুলো এই ঘাটে নদীর পাড়ে এসে নোঙ্গর করে। কাঠের সিঁড়ি লাগিয়ে যাত্রী উঠানামা ও মালামাল লোড আনলোড করতে দেখা যায়। চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাত্রীরা নদীর পাড়ে এসে লঞ্চে উঠার সময় অনেক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
চাঁদপুর বিআইডব্লিউটি প্রতিবছর হাইমচর উপজেলার কাটাখালি লঞ্চঘাট, তেলির মোড় লঞ্চঘাট, হাইমচর বাজার লঞ্চঘাট ও চরভৈরবী ইউনিয়নের মাছ ঘাট সংলগ্ন লঞ্চ ঘাটে ইজারা দিয়ে রাজস্ব আদায় করলেও এসব লঞ্চঘাটে কোন পন্টুন দেওয়া হয়নি।
হাইমচর উপজেলার অনেক মুহূর্ত রোগীরা ও গর্ভবর্তী নারীরা ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য আসলে পন্টুন না থাকায় তারা খুব কষ্টে লঞ্চে উঠতে হয়।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, হাইমচর উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ কর্ম ও ব্যবসায়ী কাজে ঢাকায় আসা যাওয়া করেন। হাইমচরে চারটি লঞ্চঘাটে কোন ধরনের পন্টুন না থাকায় লঞ্চগুলো নদীর পাড়ে এসে নোঙ্গর করার কারণে পাড় ভেঙে চৌচির হয়ে গেছে। এছাড়া লঞ্চে কাঠের সিঁড়ি দিয়ে উঠার সময় যাত্রীরা অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বিআইডব্লিউটির কর্মকর্তাদের উদাসীনতা ও দায়িত্ব অবহেলার কারণে তারা এই ৪টি লঞ্চঘাটে পন্টুন না দেওয়ায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
অতি দ্রুত নৌপথে যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে এই ঘাটগুলোতে পন্টুন দেওয়ার জোর দাবি জানান সচেতন মহল।
সান নিউজ/কেটি