সুলতানা আক্তার
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে একযোগে সারাদেশে আজ থেকে সাত জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। নাগরিকদের স্বাস্থ্য সচেতন করতে পুলিশ, বিজিবি, আনসার, র্যাব ও সেনাবাহিনী মাঠে দায়িত্ব পালন করছে। সমাজের নানা স্তরের মানুষও সচেতনামূলক কাজও করছেন। এরইমধ্যে নৌকায় করোনার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছেন খুলনার মিনারুল।
আওয়ামী লীগকে সমর্থন করায় তিনি নির্যাতিত হয়েছেন। বিরোধীদলের অত্যাচার ও জীবননাশের হুমকি থাকায় একসময় তিনি ঢাকায় চলে আসেন।
নদীমাতৃক বাংলাদেশে নৌকার অবদান অস্বীকার করা যায় না। আর এই নৌকাপ্রতীকেই ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর অনেক পথ পেরিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা। আওয়ামী লীগকে ভালোবাসেন মিনারুল। নৌকা দিয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রচারণা চালিয়ে তিনি সেই ভালোবাসার প্রকাশ ঘটালেন।
জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ১৭ মার্চ থেকে তিনি “কোভিড-১৯ প্রতিরোধেই মুক্তি” স্লোগানে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই কার্যক্রম চলবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে তার সাথে এই প্রতিবেদকের কথা হয় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে। মিনারুল জানান, মানুষের দৃষ্টিআকর্ষণ করতেই তিনি বানিয়েছেন এই নৌকা। কাঠের নৌকাটি চলে না পানিতে। টেনে নিতে হয় মাটির উপর দিয়ে। সেভাবেই তৈরি করা হয়েছে সেটি। এতে লাগানো হয়েছে চাকা।
নৌকাটিতে আছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছোটকন্যা শেখ রেহানা ও প্রধানমন্ত্রীর পুত্র ও আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রতিকৃতি।
সাননিউজ/এফএআর