জাহিদ রাকিব : ঈদুল ফিতরে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অনেক কর্মজীবী মানুষ বাড়ি যেতে পারেননি। এ কারণে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে টার্মিনালগুলোতে দেখা যাচ্ছে ঘরমুখো মানুষের উপচে পরা ভিড়। অধিকাংশই মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে বাড়ি যাচ্ছেন যাত্রীরা।
শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় লেগেই আছে। একটু পর পর টার্মিনাল থেকে যাত্রী নিয়ে বের হচ্ছে আন্তঃজেলার গনপরিবহন গুলো। কিন্তু যাত্রী এবং চালকদের অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায় উদাসীন।
পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে বহস্পতিবার (১৫জুলাই) থেকে আট দিনের জন্য লকডাউন শিথিল করেছে সরকার। আগামী ২১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে ঈদুল আজহা। আর ২৩ জুলাই থেকে ৫ই আগষ্ট পর্যন্ত সকল গার্মেন্টস ও শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে কঠোর লকডাউন শুরু হবে।
অন্যদিকে ঢাকা থেকে চট্রগ্রামে যাবেন নাজমুল আলম। তিনি বলছেন, ঢাকা থেকে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ টাকায় টিকেট কিনতে হয়েছে।
এমদাদ হোসেন কুমিল্লার লাকসাম যাবেন। তিনি জানান, রোজার ঈদে ভিড় থাকায় তিনি গ্রামে যেতে পারেননি। তাই এবার আগেই যাচ্ছে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে।
খোদেজা আক্তার গৌরীপুর যাওয়ার জন্য ঘণ্টাখানেক জনপদ মোড়ে অপেক্ষা করেছেন। তিনি জানান, বাবা মা বাড়িতে থাকেন। ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যেতে হয় তার।
আসলাম মিয়া বললেন, চুয়াডাঙ্গা পরিবহন বাসের টিকেট কেটেছি। সকাল ৯টায় ছাড়ার কথা থাকলেও দুপুর পর্যন্ত বাসের দেখা মেলেনি। বাড়ি যেতে হবে, তাইতো কিছুটা কষ্ট সহ্য করেও অপেক্ষা করছি।
পরিবারের এক সদস্যকে গ্রামে পাঠাতে রবিউল নামের আরেকযুবক এসেছেন অগ্রিম টিকেট কাটতে। কমফোর্ট পরিবহনের ১৭ তারিখের একটি টিকিটও পেয়েছেন তিনি। তবে এখনও শঙ্কা কাটেনি তার। আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ঘাটে যে দীর্ঘ যানজটের কথা শুনতে পাচ্ছি তাতে বাড়িতে পৌঁছানো কত সময় লাগে তা নিয়েতো কিছুটা শঙ্কা রয়েছেই।
শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার আলমগীর বলেন, আমাদের পরিবহনের অগ্রিম টিকেট বেশি বিক্রি হচ্ছে। ঈদের একদিন আগে টিকেট নাই বললেই চলে। ১৯ এবং ২০ তারিখের টিকিটের চাহিদাই বেশি রয়েছে।
সান নিউজ/এসএ