আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ার একটি স্কুল থেকে ছাত্রীদের অপহরণ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে অপহৃতদের সংখ্যা তিন শতাধিক।
পুলিশের ধারণা, শুক্রবার সকালে জামফারা রাজ্যের জাঙ্গেবে শহরের ওই বোর্ডিং স্কুল থেকে মেয়েদের অপহরণ করার পরে বন্দুকধারীরা তাদের একটি বনে নিয়ে গিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এটি কোনো স্কুল থেকে গণঅপহরণের সবচেয়ে বড় ঘটনা। খবর বিবিসির।
শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। একদল বন্দুকধারী পিকআপ ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে জাঙ্গেবে শহরের সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে ছাত্রীদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। স্কুলটির একজন শিক্ষক সংবাদমাধ্যম 'পাঞ্চ'কে এ তথ্য জানান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দুকধারীদের মধ্যে কয়েকজন সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর পোশাক পরে ছিল এবং তারা স্কুলছাত্রীদের জোর করে গাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে যায়। তবে অন্য প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে সশস্ত্র বাহিনী কোনো গাড়ি করে নয় বরং পায়ে হেঁটে স্কুল প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে।
সশস্ত্র দলগুলো প্রায়ই মুক্তিপণের জন্য স্কুলছাত্রীদের আটক করে। দেশটির প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদু বুহারি এই অপহরণের ঘটনাকে অমানবিক এবং সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ডাকাতরা বিপুল পরিমাণ মুক্তিপণের আশায় নিরীহ স্কুল শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে আমাদের ব্ল্যাকমেইল করতে চাইছে। তাদের বলতে চাই এই প্রশাসনকে ব্ল্যাকমেইল করে দমিয়ে রাখা যাবে না।
আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য জিম্মিদের জীবিত অবস্থায়, কোনো ক্ষতি হতে না দিয়ে, নিরাপদে উদ্ধার করা। বুহারি বলেন, কর্তৃপক্ষ ওই দস্যুদের বিরুদ্ধে বিশাল বাহিনী মোতায়েন করতে পারলেও আশঙ্কা আছে যে তারা স্কুলছাত্রীদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।
এর আগে গত সপ্তাহে প্রতিবেশী নাইজার রাজ্যের কাগারা থেকে ২৭ শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৪২ জন অপহৃত হন। যাদের এখনো উদ্ধার করা যায়নি।
২০১৪ সালে ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর চিবক থেকে ২৭৬ জন স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে। যে ঘটনা সারা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছিল।
সান নিউজ/আরআই