আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনা মহামারির মধ্যে সারা বিশ্বে খাবারের দাম দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে। গত ১ দশকের বেশি সময়ে মধ্যে বর্তমানে খাবারের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।
ব্রিটশি সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বিশ্বজুড়ে খাবারের দামের একটি বৃহৎ সূচক ব্যবহার করে এ পরিসংখ্যান বের করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) প্রকাশিত ওই ইনডেক্সে দেখা গেছে, পুরো বিশ্বে গত ১২ মাস ধরে টানা খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। তার মধ্যে মে মাসে খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির সূচক সর্বোচ্চ ১২৭ দশমিক ১ পয়েন্টে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। গত এপ্রিলের তুলনায় যা ৪ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি এবং গত বছর মে মাসের তুলনায় ৩৯ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১০ সালের অক্টোবরের পর এটাই ১ মাসে খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সূচক বলে জানাচ্ছে এফএও-র ইনডেক্স।
যোগান কমে যাওয়ায় খাদ্য পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। মহামারীর মধ্যে পরিবহন ও শ্রমিক সংকটে খাদ্য পণ্যের উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটেছে। আর উৎপাদন কমে যাওয়ায় যোগানেও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। খাদ্যপণ্যের চাহিদাও বেড়েছে কয়েকটি দেশে।
এ কারনেই বিশ্বের প্রায় সব দেশেই মুদ্রাস্ফ্রীতি বড় উদ্বেগের কারণ হয়েছে। খাদ্যপণ্যের পেছনে মানুষের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মহামারী পরবর্তী বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধারেও তার উচ্চ প্রভাব পড়বে বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্য, তেলবীজ, দুগ্ধজাত খাবার, মাংস এবং চিনির মত খাদ্যপণ্যের দাম অনুসরণ করে এফএও এই ইনডেক্স তৈরি করেছে।
যে পাঁচটি উপাদানের উপর ভিত্তি করে এই ইনডেক্স তৈরি করা হয়েছে তার সবগুলোরই দাম বেড়েছে। যার ফলে ভেষজ তেল, শস্য এবং চিনির দাম বেড়েছে।
আশার কথা হলো, কিছু শিল্প করোনা মহামারীর সংকট ভালোভাবে কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। এছাড়া এফএও থেকেও এবছর বিশ্বজুড়ে রেকর্ড পরিমাণে খাদ্যশস্য উৎপাদন হওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।