নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা সংক্রমণ রোধে আজ থেকে ৫০ শতাংশ সিট ফাঁকা রেখে চলছে গণপরিবহন। তবে সড়কে পর্যাপ্ত গাড়ি না পাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বুধবার (৩১ মার্চ) থেকে গণপরিবহনে ভাড়া আবারও ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
সকালে রাজধানীর মিরপুর, শ্যামলী, কল্যাণপুর, ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, ফার্মগেট এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে রাস্তায় শত শত যাত্রী বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন।
এদিকে, প্রথমদিনেই অধিকাংশ বাস নিয়ম না মেনে অতিরিক্ত যাত্রী নিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মিরপুর থেকে মোহাম্মদপুরে চলাচলকারী প্রজাপতি পরিবহনের বাসে বর্ধিত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এ রুটে মিরপুর থেকে মোহাম্মদপুর পর্যন্ত আগে যাত্রীদের কাছ থেকে ২০ টাকা ভাড়া নেওয়া হলেও আজ নেওয়া হচ্ছে ৩০ টাকা। আর এ নিয়ে কিছু কিছু যাত্রীর সঙ্গে বাস শ্রমিকের বাকবিতণ্ডাও হয়। বাসে স্বাস্থ্য বিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি।
উত্তরা থেকে মোহাম্মদপুর বসিলা পর্যন্ত চলাচলকারী পরিস্থান পরিবহনে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা থাকলেও অনেকের মুখেই ছিলো না মাস্ক।
মিরপুর ১ নম্বরে বাসের জন্য অপেক্ষা করেন মোহাম্মদ ইউসুফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘এক ঘণ্টা ধরে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু বাসে উঠতে পারছি না। অফিস টাইম পার হয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় সিএনজি অটোরিকশা বা পাঠাওয়ের বাইকও পাচ্ছি না। কীভাবে অফিসে যাবো সেটাই বুঝতে পারছি না৷’
করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে সরকার যে নিয়ম করেছে সেটা অবশ্যই ভালো। কিন্তু আমাদের মতো সাধারণ যাত্রীদের জন্য খুব সমস্যা সৃষ্টি হয়ে যাবে যদি পর্যাপ্ত বাস না থাকে। সড়কে পর্যাপ্ত গণপরিবহনের যাতে চলাচল করে সরকারের সেই ব্যবস্থা করা উচিত।’
সেলিনা সুলতানা নামে এক লেগুনা যাত্রী বলেন, ‘গণপরিবহণে অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার কথা থাকলেও লেগুনাতে আগের মতোই লোক নেওয়া হচ্ছে। আবার অনেকের মুখে মাস্কও নেই।’
করোনা সংক্রমণ রোধে গত ২৯ মার্চ সরকার ১৮টি জরুরি নির্দেশনা জারি করে। এর মধ্যে গণপরিবহনে ৫০ শতাংশ সিট ফাঁকা রাখার কথা বলা হয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী দুই সপ্তাহের জন্য গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় গত বছর ৩১ মে বাস ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সরকার।
সান নিউজ/এসএম