বিনোদন প্রতিবেদক : ঢাকাই সিনেমার নায়িকা তমা মির্জার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এন মামলা করেছেন তার স্বামী হিশাম চিশতি। রাজধানীর বাড্ডা থানায় গত ৬ ডিসেম্বর মামলাটি করেন তিনি।
হিশামের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, বিয়ের পর বাবা-মায়ের প্ররোচনায় হিশামের কাছ থেকে মোট ২০ লাখ টাকা ধার হিসেবে নেন তমা। গত ২৯ সেপ্টেম্বর হিশাম কানাডা থেকে ফিরে তমাকে তার নিজের বাসায় এসে থাকতে বলেন। কিন্তু তিনি বাবার বাসাতেই থাকেন। গত ৫ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে তমা মির্জার বাবার বাড্ডার বাসায় যেতে বলা হয় হিশামকে। সেখানে নানা বিষয়ে আলোচনার পর ধার নেওয়া ২০ লাখ টাকা চাইলে বাসার সদস্যদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার। এর একপর্যায়ে বাড়ির সদস্যরা ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে তাকে খুন করার চেষ্টা করে।
এ মামলায় তমা মির্জাকে এক নম্বর আসামি, তার বাবা-মা, ভাইসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মামলা করার কয়েকদিন পরেই কানাডা চলে গেছে হিশাম চিশতি।
এর আগের দিন ৫ ডিসেম্বর রাত ৩টায় একই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং যৌতুকের জন্য মারপিটসহ হুমকি প্রদানের অভিযোগ এনে স্বামী হিশাম চিশতির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তমা মির্জা। তার একদিন পরেই তমা মির্জার বিরুদ্ধে মামলাটি করলেন হিশাম চিশতি।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তমা মির্জা বলেন, “যৌতুকের জন্য আমাকে নির্যাতন করত হিশাম। শুধু তাই নয়, আমাকে মারধরও করেছে একাধিকবার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করেছে। বিভিন্ন জনের কাছে আমার নামে আপত্তিকর কথা বলেছে হিশাম। বাধ্য হয়ে আমার নিরাপত্তার জন্য আমি আইনের দ্বারস্থ হয়েছি।”
২০১৯ সালের ৭ মে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক হিশাম চিশতীকে বিয়ে করেন তমা মির্জা। দুবাইয়ে হানিমুনও করেছিলেন তারা। সেখান থেকে ফেরার পর তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল।
সান নিউজ/এস