সান নিউজ ডেস্ক: অনুমোদনের পূর্বেই ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটকে ১২ কোটি ডলার দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার ৷ আর বেক্সিমকো ডিলারশিপ পেতে খরচ করেছে ৮০ লাখ ডলার ৷
জার্মান সংবাদ সংস্থা ডয়েচে ভেলের সাপ্তাহিক ইউটিউব টক শো ‘খালেদ মুহিউদ্দিন জানতে চায়’-এ এসব তথ্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান৷ করোনা ভাইরাসের টিকা পাওয়া নিশ্চিত করতেই এমন ঝুঁকি নেয়া হয়, বলে দাবি করেন তিনি৷
‘‘ভ্যাকসিন অনুমোদনের আগে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে সেরাম ইন্সটিটিউটকে অনেকেই অগ্রিম টাকা দিয়েছে৷ সে সময় বেক্সিমকো লিমিটেড আট মিলিয়ন ডলার দেয়৷ ভ্যাকসিনের ডিলারশিপ পেতে এ টাকা প্রদান করে প্রতিষ্ঠানটি৷ এ দিকে সরকার প্রথমে ৬ কোটি ও পরে ৬ কোটি মিলিয়ে মোট ১২কোটি ডলার দেয় সেরামকে,’বলেন শিল্পগ্রুপ বেক্সিমকো লিমিটেডের কর্ণধার সালমান এফ রহমান৷
সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান আরও বলেন, ‘ভারত থেকে আমদানি করা এ ভ্যাকসিনের স্বত্ত্ব বাংলাদেশ সরকারের৷’
টক শোতে আরও যুক্ত ছিলেন কবি ও উদ্যোক্তা ফরহাদ মজহার৷
ফরহাদ মজহারের এক প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, সরকার ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ জনগণকে বিনামূল্যে দেবে৷
তিনি বলেন ‘প্রথম ডোজের মতো দ্বিতীয় ডোজও বিনামূল্যে জনগণকে প্রদান করা হবে, যা ইতোমধ্যে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে৷'
ফরহাদ মজহার বলেন, বিভিন্ন সময়ে মিউটেট করে কোভিড-১৯ ভাইরাস, যা ইতিমধ্যে মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ এমন একটি জাতীয় সমস্যাকে মোকাবেলা করতে সমন্বিত চেষ্টা প্রয়োজন বলে মত দেন তিনি৷
সান নিউজ/টিএস/বিএস/