নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মহামারী করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য মানবদেহে ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু করেছে। ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর তাদের দেহে কী ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে তা ইতোমধ্যেই গণমাধ্যমে আসতে শুরু করেছে। এটা নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলসহ সর্বত্র চলছে নানা আলোচনা। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে বাংলাদেশ সরকার।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে ‘ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ভ্যাকসিনেশন প্ল্যান ফর কোভিড ভ্যাকসিন ইন বাংলাদেশ’ বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি ভ্যাকসিন দেয়ার ফলে কী ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সভায় বলা হয়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে টিকা দেয়ার পরে প্রথম তিন দিন ক্লান্তি, জ্বর এবং মাথাব্যথা হতে পারে। ভ্যাকসিন দেয়ার পর এই সাধারণ প্রতিক্রিয়াগুলো সাধারণত হালকা ধরনের হয় এবং কয়েক দিনের মধ্যে সেরে যায়। এছাড়া ভ্যাকসিন দেয়া স্থানের চারদিকে লালচেভাব, ফোলা বা ব্যথা হতে পারে। তাই এমন পরিস্থিতিতে কী পদক্ষেপ নেয়া যায়, সেটি নিয়ে সভায় আলোচনা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, টিকা দেয়ার পর জটিলতা সৃষ্টি হলে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার কার্যক্রমকে আরও জোরদার করতে বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটিগুলো পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এতে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কমিটিগুলোকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য গাইডলাইনও তৈরি করা হয়েছে। টিকাদান পরবর্তী জটিলতাকে সাথে সাথে চিহ্নিত করার লক্ষ্যে সক্রিয় নজরদারির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের টিকাদান পরবর্তী জটিলতা এবং করণীয় সম্পর্কে ধারণা দেয়ার লক্ষ্যে তাদের প্রশিক্ষণ সহায়িকায় তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
টিকা দেয়ার পর টিকা গ্রহণকারীকে কমপক্ষে ৩০ মিনিট পর্যবেক্ষণে রাখা হবে যাতে কোনাে অসুবিধা হলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যায়। প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্রে টিকা পরবর্তী জটিলতা ব্যবস্থাপনার জন্য এইএফআই (AEFI) কিটের ব্যবস্থা রাখা হবে।
সান নিউজ/এস