নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙামাটি : ২০০১ সালের রাঙামাটির বরকলে বোমা বিস্ফরণের ঘটনায় জেএমবি সদস্য গালিবের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন রাঙামাটির আদালত।
সোমবার (১৫ মার্চ) রাঙামাটি বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. সাইফুল এলাহির আদালতে আসামির বিরুদ্ধে এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেছেন বলে সুনিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি মো. রফিকুল ইসলাম।
সূত্রে জানা গেছে, দণ্ডাপ্রাপ্ত আসামি জেএমবি ইতোমধ্যে ১৫ বছর ৬ মাসের মত জেলহাজতে ছিলেন। সোমবার দুপুরে রাঙামাটি দায়রা ও জজ আদালতে রায় ঘোষণার পর কড়া পুলিশি পাহাড়ায় জেএমবি সদস্য মো. শামীম হোসেন গালিব স্বশরীরে আদালতে উপস্থিত হলে তার উপস্থিতিতেই এই রায় ঘোষণা করা হয়েছে। বিগত ২০০১ সালে সারা দেশের ন্যায় রাঙামাটি শহরের হোটেল ড্রীমল্যান্ডে জেএমবি কর্তৃক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় জেএমবি সদস্য গালিবকে প্রধান আসামি করে রাঙামাটিতে বিস্ফোরক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সে মামলা গালিব ১৫ বছর ধরে জেলহাজতে আছেন। ওই মামলা তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই মামলা দীর্ঘ দিন উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত হওয়ার পর গালিব দোষী প্রমাণিত হয়েছে। তাই আদালত তাকে এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ২০০১ সালে সারা দেশের ন্যায় রাঙামাটিতে শহরের মধ্যে জেএমবি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই বিস্ফোরণ মামলায় গালিবের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে সন্দেহতীতভাবে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। রায়ের পর তাকে কঠোর নিরাপত্তা দিয়ে বিপুল পরিমান পুলিশী হেফাজতে চট্টগ্রাম কারাগারা নিয়ে যাওয়া হয়।
অপরদিকে, রাঙামাটির জৈষ্ঠ্য আইনজীবী এ্যাডভোকেট মোখতার আহম্মেদ জানান, ২০০১ সালে রাঙামাটি শহরের মধ্যে আবাসিক হোটেল ড্রীমল্যান্ডে বিস্ফোরণের মামলায় গালিবই একমাত্র আসামি ছিলেন। সে ইতোমধ্যে ১৫ বছর ৬ মাস জেলহাজতে আছেন। এই মামলায় গালিবের পক্ষে প্রথম আইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট মোখতার আহম্মেদ।
আদালক সূত্রে জানিয়েছেন, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবি আসামির কয়েদি নং- ৬৬০৭/এ মো. শামীম হোসেন গালিব ওরফে সাইফুল ইসলাম গালিব, বাবা মো. তমিজ উদ্দিন, সাং-ইটাগাছা, থানা ও জেলা সাতক্ষীরা। সকাল ১১টা হতে দুপুর পর্যন্ত রাঙামাটি আদালত পাড়া ছিল পুলিশী বেষ্টুনি। এছাড়া ডিবি, ডিএসবি, বিভিন্ন সংস্থার গোয়েন্দা বাহিনী ও মিডিয়ার কর্মীরা রায়ের অপেক্ষায় ছিলেন। রায়ের সাথে সাথে পুলিশী কড়া নিরাপত্তা দিয়ে তাকে চট্টগ্রাম কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
সান নিউজ/কে/কেটি