নিজস্ব প্রতিবেদক : ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন আজ। আজ পহেলা ফাল্গুন। দিনটিকে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বরণ করে নেয় দেশবাসী। এবার পহেলা ফাল্গুনের সঙ্গে যোগ হয়েছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসও। দুটি উৎসব এক সঙ্গে হওয়ায় মানুষ পেয়েছে বাড়তি আনন্দ।
১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশেও পালন করে থাকে তরুণ-তরুণী ও রোমান্টিক জুটিরা।
সকালের দিকে রাজধানীর জনসমাগম স্থানগুলোতে উৎসব প্রিয় মানুষের উপস্থিত কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের উপস্থিত বাড়তে থাকে। তাদের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেলেও সব বয়সী মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।।
দিবস দুটিকে কেন্দ্র করে ফুলের দোকানে ফিরেছে প্রাণ। ফুলের স্থায়ী দোকানগুলোর সঙ্গে ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে মৌসুমি ফুলের দোকানিরা। ঘুরে ঘুরে ফুল কিনছেন যুবক-যুবতীরা। ফুটপাতে খাবারের দোকানগুলোতে বাড়তি ব্যস্ততা দেখা গেছে।
শাহবাগ, টিএসসি, দোয়েল চত্বর সর্বত্রই ভালোবাসা দিবস ও বসন্তপ্রেমীদের ভিড়। ছেলেরা পাঞ্জাবি আর মেয়েদের দেখা যায় লাল, হলুদ বাসন্তী রঙের শাড়ির সঙ্গে চোখে কাজল, হাতে রেশমি চুড়ি, কপালে টিপ আর খোঁপায় গোঁজা নানা ফুলের মালা।
শাহবাগে ঘুরতে আসা মাসুম জানান, করোনা মহামারীর কারণে বছরখানেক কোনো অনুষ্ঠানে যাইনি। এখন করোনার প্রকোপ কিছুটা কমেছে। কিছুটা আতঙ্ক থাকলেও মানুষ নিজেদের মতো করে উৎসব পালন করবে। এছাড়া আজ দুটি উৎসব একই সঙ্গে হচ্ছে, যার কারণে মানুষ একটু বেশি আনন্দিত। সকালে মানুষ কম থাকলেও বিকালে মানুষের পরিমাণ বেড়ে যাবে।
দেশের সবচেয়ে বড় বসন্ত উৎসবের আয়োজন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের প্রাঙ্গণে। প্রতি বছর বসন্ত ঋতুকে স্বাগত জানাতে পহেলা ফাল্গুন "বসন্ত বরণ" উৎসব পালিত হয় এখানে। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে চলতি বছর উৎসবটি আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সান নিউজ/বিএস