স্বাস্থ্য

চট্টগ্রামে করোনা পরবর্তী জটিলতায় বাড়ছে মৃত্যু

ইব্রাহিম খলিল, চট্টগ্রাম ব্যুরা: চট্টগ্রামে করোনা পরবর্তী জটিলতায় বাড়ছে মৃত্যু। গত এক সপ্তাহে ৯ জনের এমন মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে স্বয়ং চিকিৎসক রয়েছে দু‘জন। ফলে করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পরও চরম অস্বস্তিতে রয়েছেন আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের স্বজনরা।

মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, করোনা পরবর্তী জটিলতায় মৃত্যু নিয়ে আক্রান্তদের অনেকেই এখন আতঙ্কে রয়েছেন। যারা করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালের চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হচ্ছেন নিয়মিত।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব জানান, আক্রান্ত ব্যক্তিরা ফুসফুস, লিভার ও কিডনি জনিত রোগে ভুগছেন। কেউ কেউ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দাগ নিয়ে ব্লাক ফাঙ্গাস আতঙ্কে ভোগছেন।

তিনি জানান, গত এপ্রিল মাস থেকে চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যুর হার বেড়েছে। এদের মধ্যে আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা বেশি। গত এপ্রিল মাসে চট্টগ্রামে ১৩৫ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মে মাসে মারা গেছে ৯৪ জন। এর আগে কোনোমাসে এত মৃত্যু হয়নি।

সিভিল সার্জনের তথ্য পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহে চট্টগ্রামে গড়ে ৩ জন করে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা পরবর্তী জটিলতায়। এদের মধ্যে দু‘জন চিকিৎসকের মৃত্যু বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

তথ্যমতে, গত রবিবার (৩০ মে) দিনগত রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ডা. ফরিদুল আলম (৬৮)। তিনি লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মজিদারপাড়ার মৃত লাল মোহাম্মদের পুত্র। চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের সাবেক বিভাগীয় প্রধান। আগ্রাবাদ শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং লোহাগাড়া সিটি হাসপাতালের ভাইস চেয়ারম্যান।

করোনা পরবর্তী জটিলতায় তার মৃত্যু ঘটে বলে জানান ভাগিনা মোহাম্মদ ওসমান। তিনি জানান, আমার মামা ডা. ফরিদুুল আলম করোনা আক্রান্ত থেকে সুস্থ হয়েছিলেন। মামার হার্টের সমস্যা ও হাই ডায়াবেটিস ছিলো। হার্ট ও ডায়াবেটিসের কারণে প্রায় একমাস আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

এর আগে গত শুক্রবার (২৮ মে) দিনগত রাত তিনটার দিকে চট্টগ্রামের সিএসসিআর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ডা. গোলাম মর্তুজা হারুন (৭০)। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাবের চট্টগ্রামের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির গত কমিটির উপদেষ্টাও ছিলেন তিনি।

করোনা পরবর্তী বিভিন্ন জটিলতায় তার মৃত্যু ঘটে বলে জানান বিএমএ চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান। তিনি বলেন, গত ১২ মে হারুনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ১০ দিন পর ২২ মে নিগেটিভ আসে। কিন্তু ফুসফুসের সংক্রমণ ছিল নিয়ন্ত্রণহীন। এছাড়া তিনি কিডনি জটিলতায়ও ভুগছিলেন। কোভিড পরবর্তী অবস্থার আরও অবনতি হলে গত ২৭ মে তাকে সিএসসিআর হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ এপ্রিল থেকে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট ৬২২ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ২১ জন চিকিৎসক রয়েছেন। এছাড়া আক্রান্ত বেড়ে দাড়িয়েছে ৫৩ হাজার ৫০৫ জনে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘন্টায় ৭০২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।

সান নিউজ/ আইকে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

আড়িয়ল ইউপিতে উপ-নির্বাচন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়িতে গৃহকর্মীকে জিম্মির অভিযোগ 

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবস

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স...

কার্বণ মিল ও সীসা কারখানা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী প্রতিনিধি:

ভোলায় স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণ কর্মশালা 

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় ইউনিয়ন স্বা...

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর গণসংযোগ

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

হাতিয়া সৈকতে ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর দ্ব...

ভোলায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত 

ভোলা প্রতিনিধি: তীব্র তাপদাহ থেকে...

দায়িত্বরত অবস্থায় পুলিশের মৃত্যু

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইন...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা