সারাদেশ

ঘণ্টায় এক বিঘা জমিতে ধান রোপণ রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারে

সুফি সান্টু, নাটোর : নাটোরের হালতিবিলে বোরো ধান রোপণে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকের খরচ দুই হাজার থেকে মাত্র ৫০০টাকা। রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার মেশিনের মাধ্যমে এক ঘন্টায় মেশিনের সাহায্যে এক বিঘা জমিতে ধান রোপণ করা সম্ভব। এতে করে খরচ কমার পাশাপাশি বাঁচবে কৃষকের সময়। এতে করে স্বল্প সময়ে ধান ঘরে তুলতে পারবে কৃষকরা।

সরকারের কৃষি প্রণোদনার অংশ হিসেবে সমলয় চাষাবাদ পদ্ধতিতের মাধ্যমে ধান রোপনে এই খরচ কমবে কৃষকের। আর হালতিবিলের ১৫০ জন কৃষকের দেড়’শ বিঘা জমিতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) নলডাঙ্গা উপজেলার হালতিবিলের পূর্ব মাধনগর এলাকায় রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে ধানের চারা রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এসময় নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার, নাটোর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদুল ইসলাম, নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. ফৌজিয়া ফেরদৌস সহ মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সুবিধাভোগী কৃষক আব্দুস সোবহান বলেন, আমরা বীজতলা থেকে মাত্র ২২ দিনে চারারোপণ করতে পারছি। সতেজ চারাগুলো মেশিনে রোপণের ফলে আহত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে খুব সহজেই জমিতে মানিয়ে যাবে। জীবনচক্রের বেশী সময় জমিতে থাকায় পূর্ণ পুষ্টি পেয়ে ধানের কুশির সংখ্যা বাড়বে, ধানের পরিমাণ হবে বেশী।

অপর কৃষক আবুল হোসেন জানান, প্রতিবছর এলাকাতে বন্যা দেখা দেয়। ফলে ধান ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনাসহ ওই সময় ধান কাটা শ্রমিকের অভাব এবং উচ্চ মূল্য প্রদান সমস্যার মুখোমুখী হতে হয় আমাদের। যান্ত্রিকীকরণের ফলে ওইসব সমস্যা থেকে আমরা রক্ষা পাবো বলে আশা করছি।

নাটোর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদুল ইসলাম বলেন, সাধারণত কৃষকরা বোরো বীজতলা করলে ৪০ থেকে ৪৫দিন সময় লাগে। কিন্তু রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে ধান রোপনের জন্য মাত্র ২২দিনেই পলিথিন মোড়ানো হাউজে বা ট্রেতে বীজতলা রোপনের উপযোগি হয়ে উঠে। এতে করে কৃষক আগাম বোরো ধান রোপন করতে পারছে।নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. ফৌজিয়া ফেরদৌস বলেন, পূর্ণাঙ্গ চারাগুলো রোপণ করা হচ্ছে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে। রোপণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে লাইন লোগো পদ্ধতি। যাতে করে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসে বেড়ে ওঠে ধানের চারা, সুবিধা হয় পরিচর্যায়। কৃষকের জমি এবং সেচের খরচ ছাড়া সরকারের এই প্রণোদনা কার্যক্রমে ধানের বীজতলা তৈরী থেকে শুরু করে সমূদয় ব্যয় নির্বাহ করছে সরকার।

নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার বলেন, সমবায়ের মডেল অনুসরণ করে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এবং সকল প্রযুক্তির সঙ্গে কৃষকের মেলবন্ধন তৈরীতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। দেশের ৬১ জেলার একটি উপজেলায় এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। পাইলটিং এই স্কীম সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে কৃষকরা লাভবান হবে। পরবর্তীতে জেলার অন্যান্য উপজেলাতে এই কর্মসূচি ছড়িয়ে পড়বে।

সান নিউজ/এসএস/এনকে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

আড়িয়ল ইউপিতে উপ-নির্বাচন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবস

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স...

খাগড়াছড়িতে গৃহকর্মীকে জিম্মির অভিযোগ 

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ

কার্বণ মিল ও সীসা কারখানা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী প্রতিনিধি:

ভোলায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত 

ভোলা প্রতিনিধি: তীব্র তাপদাহ থেকে...

অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাস চাপায় চুয়েট...

রাজধানীতে শিক্ষার্থীর আতহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর শাঁখা...

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাড়ছে না ছুটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : আবহাওয়া অধিদপ্...

আবারও কমলো স্বর্ণের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি মাসে তিন...

রংপুরে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়

রংপুর প্রতিনিধি : সারাদেশের মতো র...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা