মাসুম লুমেন, গাইবান্ধা: গত রোববার (৪ মার্চ) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত কয়েক দফায় গাইবান্ধার সদর, ফুলছড়ি, পলাশবাড়ীসহ কয়েকটি উপজেলার উপর দিয়ে হঠাৎ করেই দমকা হাওয়া বয়ে যায়। এতে পুড়ে গেছে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বোরো ধান।
সর্বনাশা এই ঝড়ে একদিকে স্বজন হারানোর বেদনা, বসতভিটার ক্ষয়ক্ষতি, অন্যদিকে করোনায় বেঁচে থাকার শেষ সম্বল ছিল ক্ষেতের এই ধান। আর শেষ সম্বল ক্ষেতের সেই ধান পুড়ে যাওয়ায় কৃষকের মাঝে নেমে এসেছে পাহাড় সমান হতাশা।
আর কদিন পরেই গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধান কাটা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু গত
রোববার গাইবান্ধার বিভিন্ন অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গরম বাতাস হাইব্রিড জাতের ধানের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। গরম দমকা বাতাসে সদ্য প্রস্ফুটিত ধানের শীষ পুড়ে গেছে। ফলে নষ্ট হয়ে গেছে শত শত হেক্টর জমির ফসল। ঝড়ের পরের দিন সকালে জমিতে গিয়ে ধান গাছের শীষ পোড়া দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন অনেক কৃষক।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার গাইবান্ধা জেলায় বোরো ধানের চাষ হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে সদরে ২০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান এর চাষ করা হয়েছে। এখন সদরে ৪শ এবং পুরো জেলায় ১ হাজার হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোদের তীব্রতা থাকলে আগামী চার-পাঁচ দিনে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে বলে আশংকা করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. মাসুদুর রহমান।
এছাড়া ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের যেন সহযোগিতা করা যায, সেজন্য সরকারের সহযোগিতা চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা প্রস্তুত করে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের পাশে দাঁড়াবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা জেলার কৃষক সমাজের।
সান নিউজ/কেটি