নারী

কেইকো মাদামের জন্মদিন

প্রবীর বিকাশ সরকার

মাদাম কেইকো আজুমা, আজ তাঁর জন্মদিন। বেঁচে থাকলে ৮৫ হতেন। ১৯৮৭ থেকে তাঁর সাথে ধীরে ধীরে গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তাঁর স্বামীর মাধ্যমেই।

কোইকো মাদাম স্বামীর মতোই ছিলেন রবীন্দ্রঅন্তপ্রাণ। সাংসারিক, শিক্ষকতা এবং ব্যক্তিগত ব্যস্ততার মধ্যেও প্রাণের গুরুদেব রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে ভেবেছেন, গবেষণা করেছেন এবং যৎসামান্য লেখালেখিও করেছেন। সুরেলা কণ্ঠে গাইতে পারতেন রবীন্দ্রসঙ্গীত। অনর্গল বাংলায় কথা বলতেন বাঙালিদের সঙ্গে। অনেক স্মৃতি তাঁর সঙ্গে আমার! মনে পড়ে ২০১৩ সালের ৩০ জুন তারিখে ফোন করেছিলাম। জিজ্ঞেস করলাম, ‘কেমন আছেন সেনসেই?’ ওপাশ থেকে সুস্পষ্ট বাংলায় বললেন, ‘একটু ব্যস্ত আছি পড়ালেখা নিয়ে। ৪ঠা জুলাই তোচিগি-প্রিফেকচারের উজিয়ে নামক স্থানে যেতে হবে। সেখানকার সাকুরা শহরে কাম্পো-তাগো-রু কাই (কাম্পো-টেগোর সংস্থা) ‘ইনদো-তাগোর-রু তো নো কোওরিউ’ (ভারত ও রবীন্দ্রনাথের মধ্যকার ভাববিনিময়) শীর্ষক একটি আলোচনায় কিছু বলতে হবে আমাকে। তাই পড়ালেখা করছি। নতুন কিছু বলতে হবে তো!’

কাম্পো আরাই (১৮৭৮-১৯৪৫) জাপানের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী যিনি রবীন্দ্রনাথের বন্ধু ছিলেন এবং ‘বিচিত্রা ভবনে’ শিক্ষকতা করেছেন ১৯১৬-১৮ সাল পর্যন্ত। তাঁর দৌহিত্র কাওয়াই ৎসুতোমু এই ‘কাম্পো-আরাই কাই’ প্রতিষ্ঠা করেছেন অধ্যাপক কাজুও আজুমার সহযোগিতায়। শুধু তাই নয়, রবীন্দ্রনাথের নামে একটি উদ্যান “কাম্পো-তাগো-রু হেইওয়া কিনেন কোওয়েন” তথা “কাম্পো-টেগোর স্মারক শান্তি উদ্যান” নির্মাণ করে নগর প্রশাসনকে দান করে দিয়েছেন। এরকম ঘটনা আর কোনো দেশে হয়েছে বলে আমার অন্তত জানা নেই। কী রকম রবীন্দ্রপ্রেম থাকলে পরে নিজের জমির ওপর উদ্যান র্নিমাণ করে মানুষের জন্য দান করে দিয়ে দেয়া যায় তার অদ্বিতীয় উদাহরণ হচ্ছে এই উদ্যানটি!

ফোনে অকপট সরল উক্তি কেইকো সেনসেইএর, ‘রবীন্দ্রনাথকে এখনো পড়ছি।’ তখন তিনি ৭৭ হয়েছেন মাত্র। এখনো তাঁর রবীন্দ্রনাথকে জানার তৃষ্ণা! স্বামী জাপানশীর্ষ রবীন্দ্রগবেষক, বাংলা ভাষা ও বাঙালিপ্রেমী ‘দেশিকোত্তম’ অধ্যাপক কাজুও আজুমা চলে গেছেন পরপারে ২০১১ সালের ২৮ জুলাই দীর্ঘ বছর নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে। সেই বছর ছিল তাঁর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। আজুমাস্যারবিহীন কেইকো মাদাম কেমন আছেন তাই দেখতে যাওয়ার জন্য ফোন করেছিলাম।

সেই তরুণকালে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে দুজনের সাক্ষাৎ। রবীন্দ্রনাথ নিয়ে আলোচনা, গবেষণা করতে গিয়ে বাঁধা পড়লেন গভীর বন্ধনে। বলা যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই তাঁদের বিয়ের ঘটক। ‘বলাকা’ কাব্যগ্রন্থ নিয়ে এমএ পরীক্ষার সন্দর্ভ লিখেছিলেন কেইকো সেনসেই, এবং রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে একাডেমিক গবেষণাও মনে হয় এই প্রথম জাপানে হয়েছিল তিনি সেটা সম্পন্ন করেছিলেন। সেই সুকৃতি মানুষটির আসল নাম কেইকো কাসাহারা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়েই কাজুও আজুমার সঙ্গে বৈবাহিক সূত্রে হলেন কেইকো আজুমা।

৩৬ বছর বয়সে প্রাচ্যের সেরা টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি এমএ ডিগ্রিধারী কাজুও আজুমা য়োকোহামা ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হন। জার্মানিতে গিয়ে গবেষণা করার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন সেদেশ থেকে কিন্তু যাননি ততদিনে রবীন্দ্রনাথ এবং বাংলাভাষার প্রেমে হাবুডুবু অবস্থ দুজনেরই। গেলেন শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর জাপানি বিভাগের অতিথি অধ্যাপক হিসেবে। এর মাস ছয়েক পর দুই সন্তান নিয়ে সহধর্মিণী কেইকো আজুমা গেলেন স্বামীর কর্মস্থলে। ১৯৬৭ সাল কী উতপ্ত তখন পশ্চিমবঙ্গ তথা কলকাতা নকশাল বাড়ি আন্দোলনের কারণে! যত্রতত্র সন্ত্রাস, গুপ্ত হামলা, মানুষ খুন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। তাছাড়া প্রচণ্ড গরম এবং অনিয়ম-অব্যবস্থা তো আছেই! সেসব তোয়াক্কা না করে দুজনেই রবীন্দ্রনাথকে খুঁজে চলেছেন সাহিত্য, মানুষ আর প্রকৃতির মধ্যে। বাংলা ভাষার অলিগলি পর্যন্ত হেঁটে চলেছেন অক্লান্ত উদ্যমে।

শান্তিনিকেতনের বিরূপ প্রকৃতি, রুদ্ররুক্ষ অনাত্মীয় পরিবেশে এমনভাবে মানিয়ে নিয়েছেন যে সাঁওতালরা পর্যন্ত হতবাক! অধ্যাপক আজুমা ছিলেন সাড়ে তিন বছর আর কেইকো আজুমা দেড় বছর। এর মধ্যে তাঁরা বোলপুর, শান্তিনিকেতন তো বটেই সমগ্র কলকাকাতেই পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। বাংলা সঙ্গীত, বাংলা রান্নাসহ বাঙালি সংস্কৃতিকে এমনভাবে আত্মস্থ করেছেন যার তুলনা পাওয়া আজও কঠিন। বলা যায় তাঁরা সম্পূর্ণ বাঙালি হয়ে গিয়েছিলেন। কতবার যে গিয়েছেন কলকাতা, শান্তিনিকেতনে এবং বাংলাদেশে তার হিসেব নেই। কত কাজ, কত গবেষণা রবীন্দ্রনাথ ও বাঙালিকে নিয়ে। আজুমা স্যারের বাসায় বাংলা বইয়ের সংগ্রহই ছিল ১০ হাজারের বেশি।

১৯৭১ সালে জাপানে ফিরে এসে কতগুলো প্রকল্প নিয়েছিলেন আজুমা স্যার যার মূলে রয়েছেন কেইকো মাদাম। একান্ত সচিবের চেয়েও বেশি। সেইসব প্রকল্প ছিল জাপানি ভাষায় রবীন্দ্রসাহিত্যের অনুবাদ, শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের স্বপ্ন ‘জাপান ভবন’ নির্মাণ, বিশ্বভারতীতে জাপানি ছাত্র ও গবেষকদের প্রেরণ, জাপানে রবীন্দ্র সংস্থা গঠন, পুরনো-প্রবীণ জাপানি রবীন্দ্রভক্তদের একত্রীকরণ, জাপানিদেরকে বাংলা শেখানো, আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংস্থা গঠন ইত্যাদি। স্বস্তিকর যে সব প্রকল্পই সুসম্পাদন করে গেছেন অধ্যাপক আজুমা। যার সহযোগিতা না থাকলে এতসব সম্ভব হত না তিনি অর্ধাঙ্গিণী কেইকো আজুমা।

চারটি ছেলেমেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পাঠানো, ফাঁকে-ফাঁকে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা, জাপানে আগত অতিথিদেরকে সেবাযত্ন করা, স্বামীর বিপুল গবেষণা দলিলপত্র গোছগাছ করে রাখা, চিঠিপত্রের জবাব তৈরি করা, স্বামীর লেখাগুলোর অনুলিপি করা, রবীন্দ্রনাথসহ অন্যান্য বিষয়ে নিজেরও লেখালেখি করা আবার একইসঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে ভারতে যাওয়া কী না করেছেন কেইকো মাদাম, যা ভাবতে গেলে মাথায় ধরে না! একজন নারীর মধ্যে কতখানি শক্তি ভাবলে আশ্চর্য হতেই হয়! অধিকাংশ সময় আজুমা স্যার কলকাতা, দিল্লি না হয় শান্তিনিকেতনের কাজে অবস্থান করেছেন আর এদিকে জাপানে সব একা সামলিয়েছেন কেইকো মাদাম। কোনোদিন তাঁদের মধ্যে সামান্য ঝগড়া বা মনোমালিন্য হয়নি বলে ঘনিষ্ঠ জনের কাছেই শুনেছি। হাসিমুখে স্বামীর সব আবদার, আদেশ-নির্দেশ মেনে নিয়েছেন হাসিমুখে। ২০০০ সাল থেকে তাঁর স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্রমাগত স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়তে থাকে। কিন্তু স্যারের কাজের ক্ষান্তি নেই আর কেইকো মাদামেরও সেবাশুশ্রুষায় ক্লান্তি নেই। প্রায় অচল স্বামীকে বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৫৩ বছর বয়সে গাড়ি চালানোর অনুমোদনপত্র (ড্রাইভিং লাইসেন্স) লাভ করেন। এমনটি এই আধুনিক জাপানেও বিরল ঘটনা!

কতদিন যে তাঁদের সান্নিধ্যে কেটেছে আমার পুরনো কাঠের দ্বিতল বাড়িতে তার হিসাব নেই। নিজ হাতে রান্না করে বাঙালি খাবার পরিবেশ করেছেন খ্যাত-অখ্যাত বহু বাঙালিকে। আমিও তাঁদের মধ্যে সৌভাগ্যবান একজন। সম্প্রতি বাড়িটি ভেঙ্গে ফেলে নতুন দালান নির্মাণ করেছেন বড় ছেলে। পাশের একটি ছোট্ট দুকামরার বাসায় কেইকো মাদাম একা থাকতেন। স্বামীর স্মৃতি আগলে একাই বার্ধক্য জীবন অতিবাহিত করে গেছেন। স্বামীর মতো রবীন্দ্রনাথও ছিলেন তাঁর জীবনদেবতা।

২০১৩ সালেরই ৮ জুলাই স্মরণীয় একটি দিন। আজুমা স্যার লোকান্তরিত হওয়ার পর এই প্রথম কেইকো মাদামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলাম। বাসায় গেলে পরে আগের মতোই অনাড়াম্বর আতিথেতায় মুগ্ধ হলাম। এখানে সেখানে আজুমা স্যারের বই, গবেষণাপত্র, ছবি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। দু-একটি দুর্লভ ছবি ক্যামেরায় তুলে নিলাম।

আজুমা স্যারের শেষ কীর্তি কলকাতার সল্টলেকে ২০০৭ সালে উন্মুক্ত ‘ভারত-জাপান সংস্কৃতি কেন্দ্র: রবীন্দ্র-ওকাকুরা ভবন।’ সুদৃশ্যমান এই ভবনটি নানা সমস্যায় জর্জরিত বলে শুনছিলাম। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি এর কর্ণধার হওয়া সত্ত্বেও জাপান-ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়মূলক কাজ হচ্ছে না বললেই চলে। এই কারণে আমার মন বিষাদগ্রস্ত, কেননা এই প্রতিষ্ঠানটির জন্মলগ্নে আমার সামান্য ভূমিকা আছে।

কথা প্রসঙ্গে কেইকো মাদামকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘সেনসেই ‘ভারত-জাপান সংস্কৃতি কেন্দ্র’ নিয়ে কিছু ভাবছেন কিনা? আজুমা স্যারের এই মহান কীর্তিটি কী ধ্বংস হয়ে যাবে?’

কিছুক্ষণ ভাবলেন তিনি, তারপর বললেন, ‘নীলাঞ্জন এবং অলোকবাবুর কাছ থেকে টেলিফোন পেয়েছি। কিছু একটা করা দরকার, তাই না? কিন্তু এখন তেমন কেউ নেই যাঁরা এই প্রতিষ্ঠানটি করার সময় জড়িত ছিলেন। জাপান-ভারত রবীন্দ্র সংস্থা এবং পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির যৌথ উদ্যোগে এটা হলেও প্রায় সব টাকাই জাপানের। এভাবে তো একে ধ্বংস করে দেয়া যায় না। প্রাক্তন রিয়োওজিকান (কলকাতার জাপান কনস্যুলেট) নোরো মোতোয়োশি সানের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি এই প্রতিষ্ঠানটি উদ্বোধন করার সময় কলকাতায় জাপানি কনস্যুলেট প্রধান ছিলেন। তিনি তো বাংলা আকাদেমি এবং কনস্যুলেটকে এর দায়িত্ব নেয়ার কথা বলে এসেছিলেন। কিন্তু ভালোভাবে চলছে না। কোথাও কোনো ঘাপলা হয়েছে। আমি যাচ্ছি নভেম্বর মাসে। আপনিও তো জড়িত আছেন এর সঙ্গে আমার সঙ্গে যাবেন কি দেখে আসার জন্য?’

আমি কিছু বলেনি তখন। কিন্তু ফিরে এসে স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ হলে সে বলল, ‘আজুমা স্যারের স্বপ্ন এবং জাপানিদের অর্থ ও পরিশ্রম যাতে বিফলে না যায় তার জন্য তোমারও চেষ্টা করা প্রয়োজন। এটা দায়িত্বও বটে।’ উল্লেখ্য যে, কেইকো মাদামের কাছে আমার জাপানি স্ত্রী বাংলা ভাষা শিখেছে এক বছর। তাছাড়া আজুমা স্যারের পরিবারের সঙ্গে আমরা সুদীর্ঘকাল পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠ। তার কথা ফেলে দেবার মতো নয়।

আজ আজুমা সেনসেই, কেইকো সেনসেই দুজনেই ধরাছোঁয়ার বাইরে। কেইকো সেনসেই ছিলেন জাপানের শেষ প্রবীণ রবীন্দ্রভক্ত। দুজনের অসীম অবদানের মূল্যায়নস্বরূপ আমার সামান্য হলেও কিছু করার তাগিদ অনুভব করে আসছি। করোনাকাল অতিক্রান্ত হলে পরে কলকাতায় যেতে হবে এবং জরেজমিন পর্যবেক্ষণ করতে হবে “ভারত-জাপান সংস্কৃতি কেন্দ্র: রবীন্দ্র-ওকাকুরা ভবন”কে।

জুন ২২, ২০২১

টোকিও, জাপান

সান নিউজ/ আরএস

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রাণী প্রদর্শনী মেলা

ভোলা প্রতিনিধি: ‘প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট ব...

সম্মিলনী বিদ্যালয়ের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : ফরিদপুর জেলার সদর ইউনিয়...

বাংলাদেশ স্কাউট দিবস ২০২৪ পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে অনুষ্...

হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক : দেশে তাপপ্রবাহ বাড়ছে। আর এই গরমে সবচেয়ে ব...

ভাসানচরে এক রোহিঙ্গাকে গলা কেটে হত্যা

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যা...

কৃষক লীগকে গ্রামে নিয়ে যাওয়া ভালো

নিজস্ব প্রতিবেদক : কৃষক লীগকে শহরের মধ্যে আটকে না রেখে গ্রাম...

শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব বিশ্বে বিরল

নিজস্ব প্রতিবেদক : মৃত্যুঞ্জয়ী শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপ...

দেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে গত কদিন ধরেই চলছে তীব্র দাবদাহ। এ অব...

ছুটির দিনে মুখর সোহরাওয়ার্দী

নুসরাত জাহান ঐশী: আজ সপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর প্রাণকেন্দ...

ভারত ছাড়লেন সালমান খান

বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের ভাইজান খ্যাত সুপারস্টার সালমান খান। স...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা