নিজস্ব প্রতিবেদক : কথামালা-গান আর কবিতায় সাজানোর দারুণ এক ঘরোয়া আয়োজনে স্মরণ করা হলো সদ্যপ্রয়াত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনকে।
বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ আন্তর্জাতিক পর্ষদের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগের পাঠক সমাবেশ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় এই কথাশিল্পী রাবেয়া খাতুন স্মরণের অনুষ্ঠান।
শিশু সাহিত্যিক আলী ইমামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় ‘নন্দিত কথাশিল্পী রাবেয়া খাতুন স্মরণে-বরণে-শ্রদ্ধায়-কথায়-কবিতায়’ শীরোনামের এই আয়োজন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা। সম্মানিত অতিথি ছিলেন কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, কবি সুরমা জাহিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিশু সাহিত্যিক আমীরুল ইসলাম, সুজন বড়ুয়া, রহিম শাহ, শাহাদাৎ হোসেন নিপু ও মজিদ মাহমুদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গীতিকার সুজন হাজং।
রাবেয়া খাতুনকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আয়োজনের আলোচনায় বক্তারা বলেন, রাবেয়া খাতুন ছিলেন অত্যন্ত বিণয়ী, নির্ভতচারী, সদাচারী ও সাদাসিধে একজন মানুষ। কিন্তু লেখক হিসেবে ছিলেন দারুণ শক্তিশালী। তার লেখা তুলনামূলক কম পাঠ্য হলেও নিরবে-নিভৃত্যে তিনি তার লেখায় দিয়ে অর্জন করেছেন অনেক পুরস্কার। কিন্তু, তিনি পুরস্কার পাওয়ার পরও তেমন কোনভাবে উদযাপন করেননি!
বক্তারা আরও বলেন, প্রত্যেক সাহিত্যিকের একটা সতন্ত্র দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। রাবেয়া খাতুন সেই জায়গায় একটু ভিন্ন। তিনি তার সাহিত্যের উপদানকে গভীর দৃষ্টি দিয়ে দেখেছেন, কিন্তু-লিখেছেন অতি সহজ-সরল ও সাবলিল ভাবে। তেমনই এক দলিল তার লেখা ‘মেঘের পরে মেঘ’। বাংলা সাহিত্যে তো বটেই রাবেয়া খাতুন আমাদের মুক্তিযুদ্ধোত্তর সাহিত্যেও বেশ অবদান রেখেছেন। তাকে নিয়ে বড় ধরণের গবেষণা করার সুযোগ আছে।
কবি সেলিনা শেলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে রাবেয়া খাতুনের প্রতি শ্রদ্ধানিবেদন করে কবিতা পাঠ করেন-কবি আনিস মোহাম্মদ, হানিফ খান, আন্তানুর হক সহ আরও অনেকে। গান পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী রাজিয়া মুন্নি।
সান নিউজ/এসএইচ/এস