নিজস্ব প্রতিনিধি, কক্সবাজার : বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্পসমূহের মধ্যে কক্সবাজার-দোহাজারী রেললাইন অন্যতম। এ প্রকল্পের আওতায় ১২৮ কি.মি. রেলপথের মধ্যে ৫১ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। দ্রুতগতিতে চলছে রেলট্রেক বসানোর কাজ।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ব্যয় বাড়ার শঙ্কায় বর্ষার আগেই রেলট্রেক বসানোর কাজ শেষ করবেন তারা। দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমদুম রেললাইন প্রকল্পের মোট ১২৮ কি.মি. কাজের মধ্যে ৫১ ভাগ শেষ হয়েছে। এখন চলছে রেলট্রেক বসানোর কাজ।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার পানির ছড়া বাজার এলাকা থেকে রেলট্রেক বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। যেখানে মাটির কাজ শেষ হয়েছে, সেখান থেকে এই রেলট্রেক বসানোর শুরু হয়েছে।
কক্সবাজার-দোহাজারি-ঘুমদুম রেললাইন প্রকল্প পরিচালক মো. মফিজুর রহমান বলেন, ‘সামনে আসছে বর্ষাকাল, সেই সময়টা কাজ করা যায় না। তাই বর্ষা আসার আগেই রেলট্রেক বসানোর কাজ শেষ করতে চাই। রামুর পানির ছড়া থেকে এই কাজ চট্টগ্রামের দিকে চলে আসবে।’
রেল সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারের গৃহীত মেগা এই প্রকল্প ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছ। এ প্রকল্পের সার্বিক কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৫১ শতাংশ। রেললাইন তৈরির জন্য মাটি ভরাট কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৭০ শতাংশ। প্রকল্পের ৯টি স্টেশন বিল্ডিংয়ের মধ্যে ৫টির নির্মাণ কাজ হয়েছে ২০ শতাংশ।
৩৯টি ব্রিজের মধ্যে ৩০টির কাজ শেষ হয়েছে ৮০ শতাংশ। কক্সবাজারের নির্মাণাধীন সর্বাধুনিক স্টেশন আইকনিক বিল্ডিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে ২০ শতাংশ। বনাঞ্চলের ভেতরে হাতি চলাচলের জন্য ২টি আন্ডারপাসের কাজ শেষ হয়েছে। ওভারপাস তৈরির কাজও চলছে দ্রুততার সঙ্গে।
রেললাইন দ্রুত নির্মাণ শেষে যাতায়াত শুরু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারসহ সারা দেশের সঙ্গে অর্থনীতি, পর্যটনখাতসহ ব্যবসা-বাণিজ্যে বিপুল রাজস্ব আয় হবে। পাশাপাশি যোগাযোগের ক্ষেত্রেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং এই অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নও ঘটবে।
দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমদুম রেললাইন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৫ কোটি টাকা। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পর্যটক ও স্থানীয় জনগণের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রবর্তন হবে। ১২৮ কিমি রেলপথে স্টেশন থাকছে ৯টি।
এগুলো হলো- সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও ঘুমধুম। এতে থাকবে কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলক সিগন্যাল সিস্টেম এবং ডিজিটাল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম। সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে ৩টি বড় সেতু।
সান নিউজ/এসএ