সোহেল মাহমুদ, নিউ ইয়র্ক
নারীদের উঠে আসা। কলহপ্রিয় আর পরচর্চার সংস্কৃতিতে দিনমান ব্যস্ত থাকা পুরুষদের পেছনে ফেলে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশি পরিচয়কে জ্বলজ্বলে করে তুলেছেন তিন নারী। সেখানে তারা ছড়াচ্ছেন বাংলাদেশের ঔজ্জ্বল্য!
তাদের মধ্যে দুজনের সাফল্যে পালক যুক্ত হবার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। অন্যজন সফল না হলেও আলোচনায়। প্রথমজন সোমা সাঈদ। কুইন্সে ডিস্ট্রিক্ট জাজ পদে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় প্রায় ৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৭৪ হাজারের কিছু বেশি। কিছু ভোট গণনা এখনো বাকি আছে।
ব্রুকলিনে ডিস্ট্রিক্ট থার্টি নাইনে কাউন্সিল মেম্বার পদে শাহানা হানিফ যে জিততে চলেছেন, সেটি প্রায় নিশ্চিত বলা যায়। প্রতিদ্বন্দ্বীর সাথে তার ভোটের ব্যবধান বিশাল হওয়ায় র্যাঙ্কচয়েস পদ্ধতিতে ৫০ শতাংশ ভোট পাওয়ার বাধ্যবাধকতায়ও জিতে যাবেন শাহানা।
র্যাঙ্কচয়েস ভোট এবারই চালু হয়েছে। এ পদ্ধতিতে একজন ভোটার সর্বোচ্চ ৫ জন প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছেন। কোন প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে, তার মূল ভোটের সাথে সর্বনিম্ন প্রার্থীকে এক নম্বরে ভোট দেয়া ব্যালটে দ্বিতীয় পছন্দ হিসেবে পাওয়া তার ভোট যোগ হবে। এভাবেও যদি ৫০ শতাংশ পূরণ না হয়, তাহলে সর্বনিম্ন দ্বিতীয় প্রার্থীর এক নম্বর হিসেবে পাওয়া ভোটের ব্যালটে দ্বিতীয় পছন্দ হিসেবে পাওয়া তার ভোট যোগ হবে। জটিল এ প্রক্রিয়াকে মার্কিন রাজনীতিতে গণতন্ত্রকে আরো সুসংগঠিত করার সেরা পন্থা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এতো গরল পদ্ধতির ভোটযুদ্ধে বাংলাদেশের তিন মেয়ে এগিয়ে গেছেন বহুদূর। সেইসাথে পেছনে ফেলেছেন বাংলাদেশি পুরুষ প্রার্থীদের। শাহানা হানিফের আসনে বাংলাদেশি পুরুষ প্রার্থী পেয়েছেন ১,৩০১ ভোট। পুরুষ প্রার্থীরা সিটির কোথাও একটি আসনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করতে পারেন নি। এমনকি, তৃতীয় হবার সুযোগটা থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন।
মৌমিতা আহমেদ সম্ভাবনা জাগিয়েও সফল হননি। তবে, তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। লড়েছেন কাউন্সিল মেম্বার পদে। ডিস্ট্রিক্ট টোয়েনটি ফোর থেকে।
সান নিউজ/ আরএস