নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চতুর্থ প্রজন্মের এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদনে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। যে পরিমাণ শেয়ার বরাদ্দ রয়েছে তার তুলনায় ১০ দশমিক ৮৬ গুণ বেশি আবেদন জমা দিয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্র বলছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আইপিও'র আবেদন করেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
জানা গেছে, ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে ১২ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করার জন্য আইপিও আবেদন গ্রহণ করে এনআরবিসি ব্যাংক। এতে ১২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে ব্যাংকটি। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। কিন্তু আইপিওতে জমা পড়েছে ১ হাজার ৫০ কোটি ১৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকার।
কোম্পানিটির আইপিওতে বাংলাদেশি সাধারণ বিনিয়োগকারী, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশি ক্যাটাগরিতে বরাদ্দকৃত ৬০ শতাংশ বা ৭২ কোটি টাকার শেয়ার পেতে ৫৯৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা জমা পড়েছে। আর যোগ্য বিনিয়োগকারীদের ৪০ শতাংশ বা ৪৮ কোটি টাকার কোটায় ৪৫২ কোটি ৩৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকার আবেদন জমা পড়েছে।
জমা পড়া আবেদনের মধ্যে শেয়ার বিতরণ করার জন্য আগামী ৩ মার্চ লটারি অনুষ্ঠিত হবে। নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে অনলাইনে এই লটারির আয়োজন করবে ব্যাংকটি।
ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন উত্তোলনের বিষয়ে গত বছরের ১৮ নভেম্বরে বিএসইসির অনুমোদন পায় এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড।
কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, উত্তোলন করা ১২০ কোটি টাকার মধ্যে সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয়ে ব্যাংকটি ব্যয় করবে ১১৬ কোটি টাকা। সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ করবে ৬ কোটি টাকা এবং আইপিও বাবদ ব্যয় করা হবে ৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক এনআরবিসি ২০২০ সালে ৩২৩ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করে। ২০১৯ সালে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ২৬৫ কোটি টাকা। এ হিসাবে এ সময়ে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ৫৮ কোটি টাকা।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) এক টাকা ৫৫ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ১৩ টাকা ৮৬ পয়সা।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার ইনভেস্টমেন্ট ও এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড।
সাননিউজ/আরএম/কেআর