নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের এক ভবনেই ছিলো পলিথিনের কারখানা ও রাসায়ণিক দ্রব্যের গুদাম। ভবনটি হতে এখন পর্যন্ত ৫২টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর নিখোঁজ আছেন অর্ধশত।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকর্মীরা জানান, ভবনটিতে একই সাথে পলিথিনের কারখানা ও রাসায়ণিক দ্রব্য থাকায় হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাত তলা ভবনের নিচতলায় বাক্স ও পলিথিন তৈরির কারখানা, দোতলায় টোস্ট বিস্কুট, বিভিন্ন ধরনের পানীয় এবং তৃতীয় তলায় অরগানিক পানীয় (জুস, লাচ্ছি), চতুর্থ তলায় ললিপপ, তরল চকলেট, পঞ্চমতলার একপাশে সেমাই, সেমাই ভাজার তেল, পলিথিন; অপর পাশে কারখানার গুদাম ছিল। কারখানার ষষ্ঠতলায় ছিল কার্টনের গুদাম। টানা ২৩ ঘণ্টা ধরে আগুন জ্বলতে থাকায় ভবনটিতে ফাঁটলও দেখা দেয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম ব্যাপারীকে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন রূপগঞ্জের ইউএনও, ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক, পুলিশের একজন প্রতিনিধি এবং কলকারখানা অধিদফতরের একজন প্রতিনিধি।
আগুনের ঘটনায় ভবন থেকে এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে অগ্নিকাণ্ডটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ জনে দাঁড়ালো।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই কারখানা ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন ভবনের অন্যান্য তলায় ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে শ্রমিকরা ভবনের ছাদে জড়ো হন। ছাদসহ বিভিন্ন তলা থেকে লাফিয়ে পড়েন অনেকে। এতে ওই রাতেই তিনজনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, আহতও হন বেশ কিছু শ্রমিক।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ছয়তলা ভবনের চতুর্থতলা পর্যন্ত প্রবেশ করা গেছে। সেখান থেকেই এতোগুলো মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ছয়তলা কারখানা ভবনের ওপরের দুই ফ্লোরে এখনো আগুন জ্বলছে। সে জন্য নেভানোর কাজ চলছে এখনো। ধ্বংসস্তূপে তল্লাশিও এখনো শেষ হয়নি।
সান নিউজ/এফএআর