আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউরোপের দেশগুলোতে ভ্রমণে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালু করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে প্রস্তাব দিয়েছে গ্রিস ও অস্ট্রিয়া।
বৃহস্পতিবার ( ২৫ ফেব্রুয়ারি) করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে ইউরোপের মৃতপ্রায় ভ্রমণ শিল্প ফের জাগিয়ে তুলতে ইইউ নেতাদের ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় এই প্রস্তাব দেয় দেশ দুটি।
ভ্যাকসিন পাসপোর্ট নামে নতুন ধারণাটি ইইউতে চালুর ব্যাপারে দাবি করা হলেও বিষয়টি আসলে পাসপোর্টের মতো নয়। এটা সম্ভবত সনদপত্রের মতোই একটি নথি হবে এবং যাদের কাছে এই নথি বা করোনার টিকা নিয়েছেন বলে সনদ থাকবে, তারা মুক্তভাবে ইউরোপের সকল দেশে ভ্রমণ করার সুযোগ পাবে।
বৃহস্পতিবারের ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় গ্রিস ও অস্ট্রিয়া ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালুর প্রস্তাব দিলেও ২৭ সদস্যবিশিষ্ট এই সংস্থাটির কয়েকটি দেশ আবার সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। ফ্রান্স এবং জার্মানি বলছে, এই ধরনের নথি বা সনদ হাতে তুলে দিয়ে অবাধ চলাচলের সুযোগ করে দেয়া হবে অকালপক্ক সিদ্ধান্ত।
কারণ হিসেবে দেশ দুটি বলেছে, এক ব্যক্তি মাধ্যমে অন্য ব্যক্তিতে ভাইরাস বহন ও সংক্রমণের ব্যাপারে করোনা টিকার কার্যকারিতা নিয়ে এখনও পর্যন্ত পাওয়া ফলাফল অসম্পূর্ণ। আর তাই এখনই এধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত হবে না।
এছাড়া যারা টিকা নেবেন তারাই কেবল ভ্রমণ করবেন, আর যুবক সমাজসহ অন্যরা যারা টিকা নেয়ার অগ্রাধিকার তালিকায় নেই তারা বাড়িতে বসে থাকবেন; এমন ধারণা বৈষম্যমূলক বলে উল্লেখ করেছে দেশ দুইটি।
উল্লেখ্য, গ্রিস ও ইসরায়েল ইতোমধ্যেই নিজ নিজ দেশের অভ্যন্তরে ডিজিটাল টিকাদান সনদপত্র দেয়া শুরু করেছে। অন্যদিকে এই ধরনের পাসপোর্ট বা সনদ চালু করতে আলোচনা করেছে ডেনমার্ক ও সুইডেন। সূত্র: বিবিসি।
সান নিউজ/এসএ