নিজস্ব প্রতিবেদক: পৌরসভা নির্বাচনের রেশ কাটটে না কাটতেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূলের সর্বত্রই ফের ভোটের বাজনা বাজতে শুরু করেছে। প্রথম ধাপের ৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী নিশ্চিত করতে আগামী ১৩ মার্চ দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা ডেকেছে আওয়ামী লীগ।
সভাটি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হবে।
এপ্রেক্ষিতে শুক্রবার থেকে দলীয় সভানেত্রীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র বিতরণ ও গ্রহণ শুরু হয়েছে।
অপরদিকে, বিএনপি সাফ জানিয়ে দিয়েছে ইউপি নির্বাচনে অংশ নেবে না দলটি। যদিও দলটির এ সিদ্ধান্ত ভিন্ন চোখে দেখছে তিন বারের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ হাই কমান্ড। দলের নীতি-নির্ধারকরা বলছেন, তারা জনগণকে ভয় পায় বলেই ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীকেই একক প্রার্থী দেবে।
বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্তকে নতুন কৌশল হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগের নেতারা।
শনিবার সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় প্রথম ধাপে অংশ নিতে ইচ্ছুক অধিকাংশ সম্ভাব্য প্রার্থী এখন ঢাকায়। নৌকা বাগিয়ে নিতে কেন্দ্রে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন তারা।
অপরদিকে দলীয় সূত্রে জানা যায়, পৌর ভোটের মতো দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিতর্কিতদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছে দলের হাইকমান্ড।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান সাননিউজকে বলেন, অতীতের কোনো বিদ্রোহী প্রার্থীর দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে না। এরপরও দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ যদি দাড়িয়ে যায় তাদের শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ঘোষণা অনুসারে প্রথম ধাপে আগামী ১১ এপ্রিল সারা দেশে ৩৭১ ইউপিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। ১৮ মার্চ পর্যন্ত সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ১৯ মার্চ বাছাই এবং ২৪ মার্চ প্রত্যাহারের শেষ দিন।
দেশের ২০ জেলার ৬৩ উপজেলার ৩৭১ ইউপিতে ভোট ১১ এপ্রিল হবে। দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউপির মধ্যে কয়েক ধাপে ভোট হবে। প্রথম ধাপে ৪১টি ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হবে। ১০টি আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস বিবেচনায় নিয়ে এসব ইউপি বাছাই করা হবে।
ওই দিন নয়টি পৌরসভায়ও ভোট হবে। এগুলোতেও ভোট হবে ইভিএমে।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ১১ এপ্রিল প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে এরই মধ্যে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে একটি চিঠি পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ। চিঠিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ২৮(৩)(ঙ) অনুযায়ী আগ্রহী প্রার্থীদের প্যানেল তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভার আয়োজন করবে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে প্রার্থীদের একটি প্যানেল সুপারিশের জন্য কেন্দ্রে পাঠাবে। ওই প্যানেলকে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সইয়ে নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
যেসব স্থানে ভোট হবে
পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাংগাশিয়া, আংগারিয়া, মুরাদিয়া। বাউফল উপজেলার ধুলিয়া, কেশবপুর, বগা, মদনপুর, নাজিরপুর, চন্দ্রদ্বীপ। দশমিনা উপজেলায় আলীপুর, বহরমপুর, বাঁশবাড়িয়া। গলাচিপা উপজেলায় আমখলা, গোলখালী, চিকনিকান্দি ও রতনদী তালতলী। রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী। বগুড়ার দুপচাচিয়ার তালোড়। খুলনা কয়রার আমাদি, বাগালী, মহেশ্বরীপুর, মহারাজপুর, কয়রা, উত্তর বেকাশী ও দক্ষিণ বেদকাশী। দাকোপের পানখালী, দাকোপ, লাউডোব, কৈলাশগঞ্জ, সুতারখালী, কামারখোলা, তিলডাঙ্গা, বাজুয়া ও বানিশান্তা। বটিয়াঘাটার গংগারামপুর। দিঘলিয়ার গাজীরহাট, বারাকপুর, দিললিয়া, সেনহাটা, আড়ংঘাটা, যোগীপুল। বাগেরহাট ফকিরহাটের বেতাগা, লখপুর, পিলজংগ, ফকিরহাট, বাহিরদিয়ামানসা, নলধা মৌভোগ, শুভদিয়া। মোল্লাহাটের উদয়পুর, চুনখোলা, কোদালিয়া, আটজুড়ি। চিতলমারীর বড়বাড়ীয়া, হিজলা, শিবপুর, চিতলমারী চরবানিয়ারী। কচুয়ার গজালিয়া, ধোপাখালী, মঘিয়া, কচুয়া, গোপালপুর, রাড়ীপাড়া, বাধাল। রামপালের গৌরম্ভা, বাইনতলা, হুড়কা, মল্লিকের বেড়, বাঁশতলী। মোংলার চাঁদপাই, বুড়িরডাংগা, চিলা, মিঠাখালী, সোনাইলতলা, সুন্দরবন। মোরেলগঞ্জের পঞ্চকরন, দৈবজ্ঞহাটী, চিংড়াখালী, হোগলাপাশা, বনগ্রাম, বলইবুনিয়া, হোগলাবুনিয়া, বহরবুনিয়া, নিশানবাড়ীয়া, মারেলগঞ্জ, খাউলিয়া। শরণখোলার ধানসাগর, খোন্তাকাটা, রায়েন্দা, সাউথখালী।
সাতক্ষীরা কলারোয়ার কয়লা, হেলাতলা ও যুগীখালী। তালার ধানদিয়া, তেঁতুলিয়া, তালা, ইসলামকাটি, মাগুরা, খেসরা, জালালপুর ও খলিলনগর। বরিশাল সদরের কাশিপুর, চরবাড়িয়া, জাগুয়া, টংগীবাড়ীয়া। বাকেরগঞ্জের চরাদি, দাড়িয়াল, দুধল, ফরিদপুর, কবাই, নলুয়া, কলসকাঠি, গারুড়িয়া, ভরপাশা, রঙ্গাশ্রী ও পাদ্রীশিবপুর। উজিরপুরের সাতলা, জল্লা, গুটরা, শোলক, বোরোকোঠা। মুলাদীর নাজিরপুর, সফিপুর, গাছুয়া, চরকালেখা, মুলাদী, কাজিরচর। মেহেন্দিগঞ্জের মেহেন্দিগঞ্জ, ভাষানচর। বাবুগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরনগর, কেদারপুর, দেহেরগতি, মাধবপাশা। গৌরনদীর বাটাজোড়, সরিকল। হিজলার হরিনাথপুর, মেমানিয়া, গুয়াবাড়িয়া, বড়জালিয়া। বানারীপাড়ার বিশারকান্দি, ইলুহার, চাখার, সালিয়াবাকপুর, বাইশারি, বানারীপাড়া, উদয়কাঠি। বরগুনা সদরের বরদরখালী, গৌরিচন্না, ফুলঝুড়ি, কেওড়াবুনিয়া, আয়লাপাতাকাটা, বুড়িচর, চলুয়া, বরগুনা, নলটোনা। আমতলীর গুলিশাখালী, কুকুয়া, আঠারগাছিয়া, হলদিয়া, চাওড়া, আরপাঙ্গাশিয়া। বেতাগীর বিবিচিনি, বেতাগী, হোসনাবাদ, মোকামিয়া। বামনার বুকাবুনিয়া, বামনা, রামনা, ডৌয়াতলা। পাথরঘাটার কালমেঘা, কাঁকচিড়া, কাঁঠালতলী। পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার ভিটাবাড়িয়া, নদমুলা-শিয়ালকাঠী, তেলিখালী, ধাওয়া ও গৌরিপুর। ইন্দুরকানীর বালিপাড়া। কাউখালীর আমড়াজুড়ি, কাউখালী সদর। সদরের কদমতলা, কলাখালী, টোনা, শারিকতলা। মঠবাড়িয়ার তুষখালী, মিরুখালী, বেতমোর রাজপাড়া, আমড়াগাছিয়া,
সান নিউজ/আরআই