নিজস্ব প্রতিবেদক: গণস্বাস্থ্যর প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সরকার একের পর এক ছাত্রদের আটক করছে, নির্যাতন করছে। তিনি বলেন, আটককৃত ওই ছাত্ররা কি কাউকে খুন করেছে, বলাৎকার করেছে, চাঁদাবাজি বা ছিনতাই করেছে।
তিনি বলেন, তারা মানুষের অধিকারের কথা বলেছে, যৌক্তিক প্রতিবাদ করেছে। মানুষের অধিকারে কথা বলা যদি অপরাধ হয় আমিও সেই একই অপরাধে অপরাধী। আমাকেও গ্রেফতার করুন। ১৯৫২ সালে ছাত্ররা অধিকারের কথা বলেছে বলেই আমরা ভাষার অধিকার পেয়েছি। দেশ স্বাধীন হয়েছে। অনেক স্বৈরশাসক সরকারের পতন হয়েছে।
সোমবার (৩ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অভিভাবক ও নাগরিক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, খুবই দুঃখ লাগে একটা সরকার কত দুর্বল হলে কিছু ছাত্রের ভয়ে কাঁপতে হয়। তাদের গ্রেফতার তো করেছে, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। রিমান্ড খুবই ফালতু জিনিস। এখানে নির্যাতন করা ছাড়া কোনো কাজ নেই। যারা প্রশ্ন করে তাদের নিজেদেরও কোনো ধারনায় নেই, দেশে কী হচ্ছে। আমরা কী চাই, কেন চাই তার যৌক্তিকতা আছে কিনা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরু বলেন, মোদির আগমনের প্রতিবাদ জানিয়েছি। আপনারা দেখেছেন মতিঝিলে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কিভাবে পুলিশ হামলা করেছে, ছাত্রদের আটক করেছে। গ্রেফতার করে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যারা বাইরে আছে তাদের আতঙ্কে রাখা হচ্ছে, ভয় ভীতি সঞ্চার করা হচ্ছে। যেসব পুলিশ ছাত্র নির্যাতনের নেতৃত্ব দিয়েছে, সরকার তাদের নানাভাবে পুরস্কৃত করছে। আমরা অন্যায়, অত্যাচের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি।
নুরু বলেন, ছাত্রদের পরিবারসহ আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ঈদের আগে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি না দিলে আমাদের ঈদ হবে গণভবনের সামনে।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় বারের মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস বিজয়ী হওয়াতে অভিনন্দন জানিয়ে তিস্তার পানি সমস্যা সমাধান করার আহ্বান জানান।
বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সরাসরি একজন মুক্তিযোদ্ধার কন্যা কলেজছাত্রী হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার পরও তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, কারণ দেশে আইনের শাসন নাই। তাই আজ নীরব মেধাবী শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করে জেলে বন্দি করে রেখেছে। এ অপশাসন থেকে বাঁচার উপায় রাজপথে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তিনজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কি করছেন। ৫১ জনের মধ্যে পাঁচজন কাশিমপুর কারাগারে বন্ধুদের দেখতে গিয়েছিল। সেখানে তাদের আটক করা হয়। এই সরকার পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে ভয় এবং ত্রাস সৃষ্টি করতে চায়। ছাত্রদেরকে আজকে ভয় দেখানো হচ্ছে। এদেশের ছাত্র সমাজ এর জবাব দিবে। এমন অন্যায় চলতে থাকলে আপনাদের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত অতি দ্রুত উৎখাত হবে।
সান নিউজ/টিএস/আরআই