নিজস্ব প্রতিবেদক (ঝালকাঠি): ৩২ বছরেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি ঝালকাঠি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে। জরাজীর্ণ এ বাসস্ট্যান্ডটি এখন সাধারণ যাত্রী, বাস শ্রমিক ও মালিকদের দুর্ভোগের কারণ। টার্মিনাল চত্বরে সৃষ্ট খানাখন্দে বর্ষা মৌসুমে এখানে পানি জমে থাকে। তাই কাদা-পানিতে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
বাসস্ট্যান্ডে বিশ্রামাগার না থাকায় যাত্রীদের রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে যত্রতত্র দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। পৌরসভার নির্মিত শৌচাগার থাকলেও সামনে পরিবহন কাউন্টার থাকায় দেখা যায় না। এতে যাত্রীসহ এলাকাবাসীর যত্রতত্র মল-মূত্র ত্যাগ করায় টার্মিনাল এলাকার পরিবেশ দুর্গন্ধময় হয়ে উঠেছে। জেলা শহরের একমাত্র বাসস্ট্যান্ডটির কেন দৈনদশা সে প্রশ্ন জেলাবাসীর। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ বলেছেন টার্মিনালটি আধুনিকায়নের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে। ঝালকাঠি এস এম রেজাউল করিমের পাঠানো তথ্য চিত্রে প্রতিবেদন।
১৯৮৮ সালে ১ একর জায়গায় শহরের কৃষ্ণকাঠি এলাকায় ঝালকাঠি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি স্থাপন করা হয়। এরপর এটিকে আধুনিকায়নের আর কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বর্তমানে ঝালকাঠি থেকে আট রুটে ১১০টি বাস চলাচল করছে। এছাড়াও ঝালকাঠি থেকে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরগুনা, পাথরঘাটাসহ দূর পাল্লার বাস চলাচল করছে ঝালকাঠি হয়ে। ওই সময়ে নির্মিত বাস মালিক সমিতির জরাজীর্ণ ভবনটি এখন ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
মালিক সমিতির নিজস্ব অর্থায়নে এটি সংস্কার করে ঝুঁকি নিয়ে এখানে সার্বিক কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। গত বছর ভবনটির প্লাস্টার খসে মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আহত হন। পাশেই শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসের টয়লেট বাথরুম ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পরেছে অনেক আগেই। এছাড়া টার্মিনালটি নির্মাণের পর থেকেই অরক্ষিত। এর চারপাশে নেই কোন বাউন্ডারি দেয়ার বা কাঁটাতারের সীমানা। ফলে প্রায় দিনই রাতে এখানে থাকা গাড়ী থেকে ডিজেল, গিয়ার ওয়েল, টায়ার, অতিরিক্ত টায়ারের রিং চুরি করে নিয়ে যায়। যার খেসারত দিতে হয় শ্রমিকদের। পৗরসভার নির্মিত শৌচাগারটির সামনে পরিবহনের কাউন্টার করায় তা আড়ালে পড়ে গেছে। তাই এটি কেউ ব্যবহার করতে পারছে না।
টার্মিনাল আধুনিকায়নের বিষয়ে ঝালকাঠি পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু হানিফ জানান, অনেক আগেই টার্মিনালটি আধুনিকায়নের জন্য একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
সান নিউজ/এসএমআরকে/এসএস