লাইফস্টাইল

আজ জাতীয় চা দিবস

আলিম আল রশিদ : দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় চা দিবস উদযাপন হচ্ছে আজ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে এদেশে চা শিল্পের প্রভৃত উন্নতি করেছিলেন। তাই এ তারিখটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এ দিবস উদযাপন করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও চা বোর্ডের উদ্যোগে দিবসটি উদযাপন করা হবে। এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করা হবে।

শুক্রবার (৪ জুন) সকাল ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় চা দিবসের উদ্বোধনের পর শুরু হয় আলোচনা সভা। এছাড়া বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চা, শ্রীমঙ্গলে টি মিউজিয়ামে সংরক্ষিত চা শিল্পের দুর্লভ জিনিসপত্র প্রদর্শন করা হবে। আসুন চা সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য জেনে নিই।

চা চিরসবুজ উদ্ভিদ প্রজাতি। যার শুকানো পাতা থেকে তৈরি হয়। চা জনপ্রিয় পানীয়। এটি বাংলাদেশে মূলত একটি কৃষিভিত্তিক, রপ্তানিমুখী, বহুবর্ষজীবী ফসল। চা সাধারণত সুগন্ধযুক্ত, প্রশান্তিদায়ক ও স্বাদবিশিষ্ট এক ধরনের উষ্ণ পানীয়, যা অনেকেই উপভোগ করে।

ক্লান্ত দেহে যখন অলসতা এসে বাসা বাঁধে তখনই এই আলস্য দূর করতে চাই এক কাপ ফ্রেস গরম চা। ইংরেজিতে চা-এর প্রতিশব্দ হলো টি । গ্রিকদেবী থিয়ার নামানুসারে এরূপ নামকরণ করা হয়েছিল। চীনে ‘টি’-এর উচ্চারণ ছিল ‘চি’। পরে হয় যায় ‘চা’।

বাংলাদেশে চা শিল্পের বিকাশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিস্মরণীয় অবদান রয়েছে। তিনি ৪ জুন ১৯৫৭ সাল হতে ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত প্রথম বাঙালি হিসাবে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত থেকে বাঙালি জাতিকে সম্মানিত করেন।

বঙ্গবন্ধু চা বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালীন চা চাষাবাদ, কারখানা উন্নয়ন, অবকাঠামো ও শ্রমকল্যাণের ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও কার্যকর উদ্যোগের ফলে চায়ের উৎপাদন, অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে এদেশে চা শিল্পের ব্যাপক উন্নতি সাধন হয়।

স্বাস্থ্য রক্ষায় চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পুষ্টিগুণ সামান্য হলেও এতে রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যেমন- পলিফেনলস, ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং ক্যাটেচিন। পলিফেনলস এবং ক্যাটেচিন ফ্রি রেডিক্যালস তৈরিতে বাধা দেয় এবং কোষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াকে বাধাগ্রস্ত করে।

একারণে চা ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চায়ে উপস্থিত পলিফেনলসের পরিমাণ ২৫% এরও বেশি যা দেহের অভ্যন্তরে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

চায়ে ৭% থিওফাইলিন ও থিওব্রোমিন রয়েছে যা শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানির জন্য অনেক উপকারী। চা এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হলেও এতে রয়েছে ক্যাফেইন নামক উত্তেজক পদার্থ।

সাধারণত এক কাপ চায়ে রয়েছে (৩০-৪০) মিলিগ্রাম ক্যাফেইন এবং এক কাপ কফিতে এর প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ (৮৫ মিলিগ্রাম) ক্যাফেইন রয়েছে। বস্তুত ক্যাফেইনের কারনেই ঘুম কম হওয়া,হজমে ব্যঘাত ঘটা ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে অত্যাধিক চা পানে।

তবে এই ক্যাফেইনের কিছু ভালো দিকও রয়েছে। এটি হৃদপিন্ড ও দেহের অন্যান্য পেশি সতেজ রাখতে সহায়তা করে।

যেহেতু চা আমাদের প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনের নিত্যসঙ্গী, সেহেতু এই চা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটুকু উপকারী এবং কতটুকু ক্ষতি করছে তা জানা অত্যাবশ্যক। আজ আসুন জেনে নিই চা পানের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে।

ফিগার ঠিক রাখতে অনেকেই গ্রীন টি-এর প্রতি বেশি ঝুঁকছেন। গ্রীন টি প্রথমে ছিল ওষুধ, তারপর পানীয়তে পরিণত হয়েছে। জাপানের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনে দুই কাপের বেশি গ্রিন টি পান করেন তারা মানসিকভাবে অনেক বেশি ফিট।

সবুজ চায়ে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও বিভিন্ন খনিজ উপাদান যা প্রতিটি মানুষের শরীরেই প্রয়োজন। নিয়মিত সবুজ চা পান করলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কিছুটা কমিয়ে দেয়।

এছাড়াও সবুজ চা কিডনি রোগের জন্য উপকারী। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। পোকামাকড় কামড়ালে যদি ঐ স্থান চুলকায় ও ফুলে যায় তাহলে সবুজ চায়ের পাতা দিয়ে ঢেকে দিলে আরাম বোধ হয়। রক্তে কোলেস্টোরেলের মাত্রা কমায়। ডায়াবেটিসের জন্যও চা উপকারী।

বিভিন্ন প্রকার চায়ের গুণাবলীঃ
----------------------------------------------
১. আদা চাঃ আদা চা খুবই উপকারী। বিশেষ করে সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে এটি ওষুধের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। গরম আদা চা পান করলে গলাব্যথা কমে যায়। এসিডিটির বিরুদ্ধেও আদা চা কাজ করে। আদা চা পান করলে হজমের সমস্যা কমে।

২. দুধ চাঃ ক্লান্তি দূরীকরণে খুবই কার্যকর। নিয়মিত চা ও কফি পানে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। চা বা কফি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ৫ গুণ কমিয়ে দেয়। এছাড়া এ সময় স্ট্রোকের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিও হ্রাস পায় বলে এক গবেষণায় দেখা গেছে।

৩. লাল চাঃ এর মধ্যে থাকা ট্যানিন ফ্লু, ঠান্ডায় গলা ব্যথা, ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রমণ ও অন্ত্রের প্রদাহ থেকে প্রতিরোধ করে দেহকে সুরক্ষা রাখে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় লাল চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

চআয়ের মধ্যে থাকা ট্যানিন ফ্লু, ঠান্ডা , ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রমণ থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়।হজম ভালো করে এর মধ্যে থাকা ট্যানিন হজম প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে। এটি অন্ত্রের সমস্যা এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে। লাল চা অন্ত্রের প্রদাহ প্রতিরোধেও কাজ করে।

গবেষণায় বলা হয়, লাল চা খাওয়া কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের জারিত হওয়া প্রতিরোধে কাজ করে। নিয়মিত লাল চা খেলে হৃৎপিন্ড ভালো রাখে।

চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুখের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দাঁতের ক্ষয় তৈরিকারী ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া এর মধ্যে থাকা ফ্লোরাইড মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।

লাল চায়ের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রেক্টাল, জরায়ুর ক্যানসার, ফুসফুস ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এটি স্তন ক্যানসার, প্রোস্টেট ক্যানসার ও পাকস্থলীর ক্যানসারও প্রতিরোধে কাজ করে।

অতিরিক্ত চা খাওয়ার ক্ষতিকর দিকঃ
---------------------------------------------------
১. অতিরিক্ত চা পানের ফলে ক্যাফেইন ঘুমের চক্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। অতিরিক্ত চা পান ঘুমের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়।

২. অতিরিক্ত চা পানে এর মধ্যে থাকা থিওফাইলিন নামে একটি রাসায়নিক উপাদান শরীরে ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে যেটা হজমে সমস্যা তৈরি করে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।

৩. অতিরিক্ত চা পানে ঘুমে সমস্যার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে উদ্বেগ ও অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।

৪. গর্ভবতী নারীদের চা পান সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা উচিত। চা-তে উপস্থিত ক্যাফেইন ভ্রুণের বিকাশে বাধা প্রধান করতে পারে যেটা পরবর্তীতে গর্ভপাত ঘটাতে পারে।

৫. চা পানের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হলো অতিরিক্ত চা পান প্রোস্টেট ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা চা পান করে না এবং যারা প্রচুর চা পান করে তাদের মধ্যে অতিরিক্ত চা পানকারীদের প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।

৬. হৃদপিন্ডের জন্য ক্যাফেইন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যাদের হৃদযন্ত্রের সমস্যা আছে বা যারা হৃদরোগ থেকে আরোগ্য লাভ করছেন তাদেরকে চা এড়িয়ে চলাই উচিত।

চা সম্পর্কে ভুল ধারণাঃ
--------------------------------------
চা সম্পর্কে আমাদের অনেকের ভুল ধারণা আছে। যেমনঃ চা খেলে রাতে ঘুম আসে না, চা লিভারের ক্ষতি করে, চা চামড়া কালো করে ইত্যাদি। যদিও চা খেলে গায়ের রং কালো হবে না।

কারণ ত্বকের রঙ নির্ভর করে ম্যালানোসাইট কোষের সক্রিয়তার উপর। চা পান করলে লিভারের কোন ক্ষতি হয় না।

সঠিক সময়ে চা পানঃ
-----------------------------------
সঠিক সময়ে বা উপায়ে চা পান না করলে তা শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঘটায়। উপকারিতার পাশাপাশি শরীরে অন্য খাবার গুলো থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া থেকে বঞ্চিত এবং হজমে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে।

দৈনন্দিন লাঞ্চ বা ডিনারের খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চা পান করা উচিত না। এতে নিম্নোক্ত সমস্যাগুলো হতে পারে।

১. চা খাবার থেকে আয়রন শোষণ করে। কারণ চা বা কফিতে রয়েছে পলিফেনল নামক উপাদান যা আয়রন শোষণ করে বা জেস্টানিনরে সঙ্গে আয়রন মিশে শরীর থেকে বের হয়ে যায়।

২. চা শরীরে থায়ামিন বা ভিটামিন বি শোষণ রোধ করে যা বেরিবেরি রোগের অন্যতম কারণ।

৩. চা খাবার থেকে আমিষ ও ভিটামিন শোষণ করে এবং শরীর এই খাবারগুলোকে হজম করতে পারে না।

কিছু নিয়ম মেনে চললে চা পানের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
-----------------------------------------------
১. খাবার খাওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা আগে অথবা খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা পরে চা পান করা।
২. সকাল, দুপুর এবং রাতের খাবারের ১ থেকে ২ ঘণ্টা পরে চা বা কফি পান করা।

৩. যাদের হজমে এসিডিটির সমস্যা রয়েছে তাদেরও এই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

চায়ের সাথে দুধ মেশানো ভালো না খারাপঃ

চায়ে এমন অনেক সক্রিয় উপাদান আছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব বিস্তার করে। চায়ে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন থাকে। চা ইমিউন সিস্টেম বা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করে, রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে।

তাছাড়া কোষের ক্ষতি কমায় এবং কারডিওভাস্কুলার রোগ প্রতিরোধ করে। কিন্তু চায়ের মধ্যে দুধ মিশ্রিত করলে ভাস্কুলার সিস্টেম এর উপর উপকারী প্রভাব কমে যায়।

আজ জাতীয় চা দিবস। আজকের দিনে চায়ের গুরুত্ব অনুধাবন করে এর প্রতি যত্নশীল হই। প্রতিদিন পরিমিত চা পান করে দেহকে আরও সুস্থ রাখি। পাশাপাশি অতিরিক্ত চা পান থেকে বিরত থাকি।

সান নিউজ/এম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রাণী প্রদর্শনী মেলা

ভোলা প্রতিনিধি: ‘প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট ব...

সম্মিলনী বিদ্যালয়ের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : ফরিদপুর জেলার সদর ইউনিয়...

বাংলাদেশ স্কাউট দিবস ২০২৪ পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে অনুষ্...

হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক : দেশে তাপপ্রবাহ বাড়ছে। আর এই গরমে সবচেয়ে ব...

ভাসানচরে এক রোহিঙ্গাকে গলা কেটে হত্যা

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যা...

ছুটির দিনে মুখর সোহরাওয়ার্দী

ফিচার ডেস্ক: আজ সপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে ঐ...

ভারত ছাড়লেন সালমান খান

বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের ভাইজান খ্যাত সুপারস্টার সালমান খান। স...

ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষ, নিহত ৩

জেলা প্রতিনিধি : রাজশাহীতে ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেলের তিন আর...

মৃত্যুহীন দিনে শনাক্ত ১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক : সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ জনের শরীরে ক...

সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

জেলা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গায় টানা চতুর্থ দিনের মতো দেশের ও...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা