নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল। জেলার প্রায় ৩০ লাখ মানুষের সর্ববৃহৎ হাসপাতাল এটি। প্রতিদিন জরুরি বিভাগ ও সপ্তাহে ৬ দিন বহিঃর্বিভাগে বিভিন্ন উপজেলা এবং জেলা শহরের রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসে প্রায় ৩ সহস্রাধিক।
এদিকে, তুলনামূলক খারাপ রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি দেয়া হয়। সরকার এসব রোগীদের সিটের বিছানার জন্য বালিশ ও কম্বল বরাদ্দ দিয়েছে কিন্তু এই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর রোগীদের বাইরে থেকে বিছানার বালিশ কিনে আনতে হয়। পাশাপাশি এই শীতের মৌসুমে শরীরের জড়াতে বাইরে থেকে আনতে হয় কাথা-কম্বল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি বছর চিকিৎসা সেবা খাতে সরকার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালেও এই বরাদ্দের টাকা আসে। প্রতি বছর টেন্ডারের মাধ্যমে আনুষঙ্গিক বিভিন্ন জিনিসের সঙ্গে রোগীদের জন্য বালিশ ও কম্বল ক্রয় করা হয় কিন্তু ভর্তি থাকা রোগীদের এসব না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত এক সপ্তাহে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে ভর্তি থাকা রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভর্তির পর প্রতিটি ওয়ার্ডের বেডে শুধু একটি সাদা চাদর বিছিয়ে দেয়া হয়। বালিশ ক্রয় করে আনতে হয় হাসপাতালের ভেতরের একটি স্টেশনারি দোকান থেকে। অনেক দরিদ্র রোগীরা বালিশের বদলে মাথার নিচে কাপড় জড়ো করে দিয়ে রেখেছেন। এখন শীতের মৌসুম থাকায় রোগীদের হাসপাতাল থেকে কম্বল দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হয় না। তাই তাদের নিজের বাড়ি বা আত্মীয় স্বজনের বাড়ি থেকে কম্বল বা কাথা নিয়ে আসতে হচ্ছে। হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডে ঘুরে প্রতিটি সিটে একই অবস্থা দেখা গেছে। এছাড়াও সিটের বাইরে মেঝেতে থাকা অতিরিক্ত রোগীদের একই অবস্থা দেখে যায়।
এ বিষয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন বলেন, হাসপাতাল থেকে রোগীদের বালিশ-কম্বল দেওয়ার তো কথা। আমি এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
সান নিউজ/এনআই/কেটি