স্পোর্টস ডেস্ক : ডেভিড ওয়ার্নারের না থাকাটাই কি তবে আশির্বাদ হয়ে দেখা দিলো ভারতের জন্য! ইনজুরিতে পড়ে ওয়ার্নার পুরো সিরিজ থেকে ছিটকে পড়ার কারণে প্রভাব পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার পারফরম্যান্সেও! একে তো ওয়ার্নার নেই। তারওপর ম্যাচ গেলো সিডনি থেকে ক্যানবেরা। সেখানেই সফরে প্রথম জয়ের দেখা মিললো বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোংয়ের।
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে এমনিতেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। শেষ ম্যাচে স্বাগতিকদের ১৩ রানে হারিয়ে লজ্জা বাঁচালো বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোং।
প্রথমে ব্যাট করে ভারতের ছুঁড়ে দেয়া ৩০২ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়া ৩ বল বাকি থাকতে অলআউট হয়ে যায় ২৮৯ রানে। যার ফলে ১৩ রানেই জয় তুলে নেয় ভারতীয়রা।
জসপ্রিত বুমরাহ, টি নটরাজন এবং শার্দুল ঠাকুরদের বোলিংয়ের সামনে কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি অসি ব্যাটসম্যানরা। অ্যারোন ফিঞ্চ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের দুর্দান্ত ব্যাটিং সত্ত্বেও হারতে হলো ১৩ রানের ব্যবধানে। শার্দুল ঠাকুর নেন ৩ উইকেট। বুমরাহ এবং টি নটরাজন নেন ২টি করে উইকেট। ফিঞ্চ ৭৫ এবং ম্যাক্সওয়েল করেন ৫৯ রান।
ক্যানবেরার মানুকা ওভালে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভারত। বিরাট কোহলির ৭৮ বলে ৬৩, হার্দিক পান্ডিয়ার ৭৯ বলে অপরাজিত ৯২, রবীন্দ্র জাদেজার ৫০ বলে অপরাজিত ৬৬ রানের ওপর ভর করে ভারত সংগ্রহ করে ৫ উইকেট ৩০২ রান।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নারের পরিবর্তে আজ অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস ওপেন করতে নামেন মার্নাস ল্যাবুশানে। তিনি ১৩ বল খেলে মাত্র ৭ রানে আউট হয়ে যান। ওয়ার্নার না থাকাতে এই জায়গায় যেমন সমস্যা হলো অসিদের, তেমনি চার কিংবা ৫ নম্বরে ল্যাবুশানে যে খেলাটা খেলতেন, সেটাও নষ্ট হলো।
অধিনায়ক অ্যারোন ফিঞ্চ চেষ্টা করেন ভালো খেলার। ৮২ বলে ৭৫ রান করেন তিনি। টানা দুই সেঞ্চুরি করার পর আজ স্টিভেন স্মিথও ফ্লপ হলেন। ১৫ বল খেলে তিনিও আউট হয়ে গেলেন ৭ রান করে। মোইসেস হেনরিক্স ৩১ বলে ২২ রান করে আউট হন। ২৭ বলে ২১ রান করে আউট হন ক্যামেরন গ্রিন।
অ্যালেক্স ক্যারে ৪২ বলে খেলেন ৩৮ রান। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল চেষ্টা করেছিলেন দলকে ভালো একটা অবস্থানে নিয়ে যেতে। ৩৮ বলে ৫৯ রান করে তিনিও ফিরে যান দ্রুত। অ্যাস্টন অ্যাগার ২৮ বলে করেন ২৮ রান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে পড়তে শেষ পর্যন্ত ২৮৯ রানে অলআউট অস্ট্রেলিয়া।
সান নিউজ/এসএম