স্পোর্টস ডেস্ক : গত চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে এই বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরেই প্রথমবার শিরোপা ছোঁয়া হয়নি পিএসজির। তবে এবার জার্মান চ্যাম্পিয়নদের পেয়ে কিছুটা হলেও প্রতিশোধ নিতে পেরেছে মাউরিসিও পচেত্তিনোর শিষ্যরা।
কিলিয়ান এমবাপে ও নেইমারের নৈপুণ্যে প্রতিপক্ষকে তাদের মাঠেই কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে ৩-২ গোলে হারিয়ে আসরটির সেমিফাইনালের পথে এগিয়ে গেল পিএসজি।
বুধবার রাতে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় এমবাপ্পে ও মার্কিনিয়োসের গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। তবে এরপরেই ঘুরে দাঁড়ায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। এরিক-মাক্মিম চুপো মোটিং ব্যবধান কমানোর পর সমতা টানেন টমাস মুলার। কিন্তু এমবাপ্পের দ্বিতীয় গোলে জয় নিশ্চিত করে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। নেইমার গোল করতে না পারলেও দুটি গোলেই দারুণ অবদান রাখেন।
এর আগে গত বছর অগাস্টে ২০১৯-২০ আসরের ফাইনালে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা উৎসব করেছিল বায়ার্ন।
ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে যায় পিএসজি। ডি-বক্সের মুখে ডিফেন্ডারদের ঘিরে থাকা অবস্থায় ডান দিকে বল বাড়ান নেইমার। সেখান থেকে জোরালো শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এমবাপ্পে। বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যুয়ারের ঊরুতে লেগে বল খুঁজে নেয় ঠিকানা।
এরপর দুটি ভালো সুযোগ পায় বায়ার্ন। তবে লেয়ন গোরেটস্কার হেড ঠেকানোর পর বাঁজামাঁ পাভার্দের জোরালো শটও ঝাঁপিয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক কেইলর নাভাস।
২৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে পিএসজি। এই গোলেও দারুণ অবদান আছে নেইমারের। এই ব্রাজিলিয়ানের উঁচু করে বাড়ানো বল বাঁ পায়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে ডান পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্কিনিয়োস।
৩৭তম মিনিটে ব্যবধান কমায় বায়ার্ন। সাবেক দলের জালে বল পাঠান চুপো মোটিং। ফরাসি ডিফেন্ডার পাভার্দের ডান দিক থেকে বাড়ানো ক্রসে লাফিয়ে জোরালো হেডে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ক্যামেরুনের এই ফরোয়ার্ড। গত অক্টোবরে পিএসজি থেকে বায়ার্নে যোগ দেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে বেশিক্ষণ ব্যবধান ধরে রাখতে পারেনি পিএসজি। ৬০তম মিনিটে ডান দিক থেকে জশুয়া কিমিচের ফ্রি কিকে চোখের পলকে এগিয়ে গিয়ে লাফিয়ে হেডে স্কোরলাইন ২-২ করেন মুলার। তবে ৬৮তম মিনিটে আবারও দলকে এগিয়ে নেন এমবাপ্পে। আনহেল দি মারিয়ার পাস ডি-বক্সে পেয়ে জায়গা বানিয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠান ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা।
শেষ ১০ মিনিটে প্রচণ্ড চাপ বাড়ায় বায়ার্ন। দুই মিনিটের ব্যবধানে দারুণ দুটি সুযোগও পায় তারা; কিন্তু সমতায় ফেরা আর হয়নি তাদের। ৮৬তম মিনিটে দাভিদ আলাবার কোনাকুনি শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে হারের হতাশায় মাঠ ছাড়ে দলটি।
ঘরের মাঠে হেরে যাওয়ায় আগামী মঙ্গলবার ফিরতি পর্বে প্রতিপক্ষের মাঠে কমপক্ষে দুই গোলের ব্যবধানে জিততে হবে বায়ার্নকে। কিন্তু ঘরের মাঠে ড্র করলেই যথেষ্ট হবে পিএসজির। এমনকি ১-০ গোলে হারলেও সুযোগ থাকবে তাদের, কেননা তিনটি অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা তো থাকছেই।
সান নিউজ/বিএস