আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রথমবারের মতো নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগংয়ে ৩ নভোচারীকে পাঠিয়েছে চীন।
আরও পড়ুন: করোনার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার সুপারিশ
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের গোবি মরুভূমির জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে শেনঝো-১৫ নভোযানে করে তিন নভোচারী মহাকাশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। খবর বিবিসির।
তিয়ানগং কক্ষপথে থাকা মাত্র দুটি স্টেশনের একটি। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মহাকাশ কার্যক্রম থেকে চীনকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর নিজস্ব স্টেশন তৈরিতে মনোযোগ দেয় দেশটি।
আরও পড়ুন: কারখানায় আগুনে পুড়ে নিহত ৬
যে তিন নতুন নভোচারী মহাকাশ স্টেশনটিতে গেছেন তারা সেখানে ছয় মাস অবস্থান করবেন। চলতি বছরের জুনে তিয়ানগংয়ে গিয়েছিলেন তিন নভোচারী। এখন তারা ফিরে আসবেন। এর আগে একসঙ্গে স্টেশনটিতে ছয়জন নভোচারী থাকার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে কয়েক সপ্তাহব্যাপী হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলবে।
মঙ্গলবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গোবি মরুভূমির জিউকুয়ান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে শেনঝো-১৫ নভোযানটি তিন নভোচারীকে নিয়ে যাত্রা শুরু করে। মহাকাশ স্টেশন তৈরির প্রক্রিয়ার সর্বশেষ অংশ ছিল এটি। তিয়ানগং স্টেশনটি প্রায় এক দশক মহাকাশে থাকবে। এই সময়টির মধ্যে শূন্য-মধ্যাকর্ষণে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে স্টেশনটি থেকে।
আরও পড়ুন: মৃত্যুতে শীর্ষে জাপান
চীনের আন্তর্জাতিক মহাকাশচারী ফেডারেশনের নির্বাহী পরিচালক ডক্টর ক্রিশ্চিয়ান ফেচিংগার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভিকে বলেন, বিশ্ব এখন চীনের ক্রমবর্ধমান মহাকাশ সামর্থ পর্যবেক্ষণ করছে। শেংঝৌ-১৫ নভোযানে যে তিন নভোচারী গেছেন তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৫৭ বছর বয়সী ফি জাংলং। তিনি ২০০৫ সালে শেংঝৌ-৬ মিশনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেটি ছিল তার প্রথম মহাকাশ মিশন। বলা হচ্ছে আগামী এক দশকে চীন প্রতি বছর দুইবার মহাকাশে নভোচারী পাঠাবে।
সান নিউজ/এমআর