জাতীয়

দেশেই তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের মেডিক্যাল সরঞ্জাম সামগ্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : এখন দেশেই উৎপাদন হচ্ছে নানা চিকিৎসা সরঞ্জাম। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে চাহিদা মিটিয়ে রফতানি সম্ভব বলছেন উদ্যোক্তারা।

আমদানি নির্ভরতা কমাতে এখন দেশেই উৎপাদন হচ্ছে চিকিৎসা সরঞ্জাম। তৈরি হচ্ছে রক্তের নমুনা সংরক্ষণের টিউব, ব্লাড ট্রান্সফিউশন সেটসহ বিভিন্ন ধরণের সিরিঞ্জ। উৎপাদকরা বলছেন এতে দাম কমবে চিকিৎসা সরঞ্জামের। সাশ্রয় হবে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। উদ্যোক্তারা বলছেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে, দেশের চাহিদা মিটিয়ে অচিরেই বিদেশে রফতানি করা সম্ভব এসব মেডিক্যাল সরঞ্জাম।

পরীক্ষার জন্য রক্তের নমুনা সংরক্ষণ করা হয় ভ্যাকুয়াম ব্লাড কালেকশন টিউবে। কিন্তু এর পুরোটাই এখন আমদানি করতে হয়। প্রতিবছর প্রায় দুইশো কোটি টাকার টিউব আসছে বাংলাদেশে।

আশার কথা হলো, রক্ত সংরক্ষণের এই টিউব এখন দেশেই উৎপাদন শুরু করেছে চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রস্তুত ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান- এএনসি। দেশের চাহিদা মিটিয়ে ভ্যাকুয়াম ব্লাড কালেকশন টিউব রফতানিও করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।

এএনসি'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. চৌধুরী হাসান মাহমুদ বলেন, এখন আমরা যে প্রোডাক্টগুলি বাইরে থেকে এনে ব্যবহার করছি, অনেক সময় দেখা যায় সেখানে নিম্ন মানের পণ্য দেয়া হয়। আমরা আসার পরে চিকিৎসা সরঞ্জামের বেশিরভাগ পণ্যই স্বয়ংসম্পুর্ন হয়ে যাবো।

শুধু এই টিউব নয়, এএনসি জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও ভারতের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা নিয়ে বিভিন্ন ধরণের সিরিঞ্জ, ইনফিউশন সেট, অ্যালকোহল প্যাড, ফার্স্ট এইড ব্যান্ড, আইভি ক্যানোলা, ব্লাড ট্রান্সফিউশন সেট এবং স্পাইনাল নিডল তৈরি করছে।

এএনসি'র নির্বাহী পরিচালক (উৎপাদন) মোহাম্মদ মোস্তফা জামান বলেন, আমাদের যে আইওসো-১৩৪৮৫ এবং সি মার্কিং গাইডলাইন আছে সেই অনুযায়ি আমরা প্রোডাক্ট তৈরি করি। এছাড়া এখানে আমরা ডি অ্যানভারেনমেন্ট আমরা মেনে চলি।

এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ২২ ধরনের চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদনের জন্য ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন পেয়েছে। যার মধ্যে ৫টি সরঞ্জাম বাজারে এসেছে।

এএনসি'র জেনারেল ম্যানেজার (উৎপাদন) ড. বিজয় কুমার শর্মা বলেন, খুবই চমৎকার একটি কারখানা। এখানে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরি করা হচ্ছে। সব ধরণের নিরাপদ-নিরাপত্তা মেনেই আমরা এসব চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরি করছি।

রফতানি বাজারে ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরি করছে মাত্র চারটি প্রতিষ্ঠান। যাতে পূরণ হচ্ছে দেশের মোট চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ।

তবে বাংলাদেশে এই খাতে আশার আলো দেখছেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা। ভারতের সাবেক ডেপুটি ড্রাগস কন্ট্রোলার মলয় কুমার মিত্র বলেন, আমারতো মনে হয় এটা শুধু বাংলাদেশ না এটি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম একটি কারখানা করা হয়েছে। এখানে এরা যেসব আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছে এবং যে প্রক্রিয়ায় উৎপাদন করছে এটি নিঃসন্দেহে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

ওষুধ শিল্পের সাফল্যের সিড়ি বেয়ে এগিয়ে চলেছে মেডিক্যাল সরঞ্জাম খাতটিও। ১৫ হাজার কোটি টাকার এ বাজারে এবার পা ফেলেছেন দেশিয় উদ্যোগতারা। আশা করা হচ্ছে, এতে কমবে আমদানী নির্ভরতা। সাশ্রয় হবে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। তাই খাতটির দিকে সরকারের বাড়তি নজরের দাবি উদ্যোগতাদের।

সান নিউজ/এসএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রাণী প্রদর্শনী মেলা

ভোলা প্রতিনিধি: ‘প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট ব...

সম্মিলনী বিদ্যালয়ের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : ফরিদপুর জেলার সদর ইউনিয়...

বাংলাদেশ স্কাউট দিবস ২০২৪ পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে অনুষ্...

হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক : দেশে তাপপ্রবাহ বাড়ছে। আর এই গরমে সবচেয়ে ব...

ভাসানচরে এক রোহিঙ্গাকে গলা কেটে হত্যা

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যা...

সবজির বাজারে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদের আমেজ শেষ হ...

শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা শিশু হাসপা...

বিটরুটের উপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিটরুট হচ্ছে এ...

গরম আরও বাড়ার আভাস

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের ৪ জেলার ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্র...

শিশু হাসপাতালে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর শিশু হাসপাতালের ভবনে অগ্নিকাণ্ডে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা