বাণিজ্য

করোনার থাবা চিংড়ি শিল্পেও

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনাভাইরাসের থাবা পড়েছে সাদা সোনাখ্যাত বাগদা চিংড়ি শিল্পের উপরও। এই ভাইরাসের কারণে বহির্বিশ্বে একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিলের কারণে খামার থেকে চিংড়ি কেনা বন্ধ করে দিয়েছে মাছ কোম্পানিগুলো। এর প্রভাবে বাজারে চিংড়ির দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে।

হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, চিংড়ির প্রধান ক্রেতা আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্র। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর এসব ক্রেতারা বহু ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে। ফলে খামার থেকে সংগ্রহ করা প্রায় হাজার কোটি টাকার চিংড়ি কোল্ড স্টোরে পড়ে রয়েছে। নতুন করে হ্যাচারি থেকে চিংড়ি সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ফ্রজেন ফুড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গাজী বেলায়েত হোসেন বলেন, "আমাদের বিভিন্ন মাছ কোম্পানির প্রায় ২৯০টি আন্তর্জাতিক চুক্তি বাতিল হয়েছে। ফলে ওই মাছগুলো হ্যান্ড ওভার করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে চিংড়ির দাম করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর প্রায় এক ডলার কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বাগদা চিংড়ির যে মূল্য চলছে, সেই দামে মাছ রপ্তানি করা সম্ভব নয়।"

আন্তর্জাতিক বাজারে চিংড়ি শিল্পের দুরবস্থার প্রভাব পড়েছে প্রান্তিক পর্যায়ে। উৎপাদন খরচের চেয়ে কম মূল্যে বিক্রি করার কারণে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বাগদার চিংড়ির ঘের মালিকরা। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পূর্বের তুলনায় বর্তমানে হাট-বাজারে প্রতি কেজি বাগদা চিংড়ির দাম চার থেকে পাঁচশ টাকা কমে গেছে। লোকসানের কারণে চাষিরা জামানত হারাতে বসেছেন।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটে এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কক্সবাজারে চিংড়ি চাষ বেশি হয়। ঘের মালিকরা স্থানীয় আড়তগুলোতে চিংড়ি সরবরাহ করে। আর হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানীয় মৎস্য আড়তদারদের কাছ থেকে বাগদা অথবা গলদা চিংড়ি সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে সেটি বিদেশে রপ্তানি করে থাকে।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে চিংড়ি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো আড়তগুলো থেকে চিংড়ি সংগ্রহ বন্ধ করে দেয়। এরফলে পাইকারি বাজারে মাছের দরপতন হয়। সেই প্রভাব গিয়ে পড়ে ঘের ব্যবসায়ীদের উপর। সর্বশেষ পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা নিজেদের খামারে যে টাকা বিনিয়োগ করেছেন সেই পরিমাণ টাকার চিংড়ি বিক্রি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন।

এদিকে মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছে, প্রান্তিক চাষিদের সহযোগিতার জন্য ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুতি চলছে। তালিকা অনুযায়ী প্রণোদনা দেয়া হবে। কয়রা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন হোসেন জানান, ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিদের তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশনা পেয়েছি। সে লক্ষ্যে এরই মধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে।

সান নিউজ/আরএইচ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

আজ বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবস

সান নিউজ ডেস্ক: আজ ২৩ এপ্রিল, বিশ...

কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই 

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ও কাতা...

খাগড়াছড়িতে গৃহকর্মীকে জিম্মির অভিযোগ 

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবস

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স...

আড়িয়ল ইউপিতে উপ-নির্বাচন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

কার্বণ মিল ও সীসা কারখানা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী প্রতিনিধি:

কক্সবাজারে দুই জেলের লাশ উদ্ধার 

জেলা প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলার চ...

আড়িয়ল ইউপিতে উপ-নির্বাচন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়িতে গৃহকর্মীকে জিম্মির অভিযোগ 

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা